ওয়েব ডেস্ক: ২০২১ এর বাংলা জয়ের পর এবার টার্গেট ২০২৪ এ দিল্লি। এর এই উদ্দেসেই আজ বিকেলেই রাজধানী যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই দিল্লি সফর বেশ তাৎপর্য পূর্ণ বলেই মনেকরছে রাজনৈতিক মহল।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মোদী সরকার বিরোধী ফ্রন্টের ডাক দিয়েছেন মমতা। অন্যদিকে, জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি, দেশের বেহাল অর্তনীতি, কোভিড মোকাবিলা, পেগাসাস ইস্যুতে সরগরম দেশ। বিরোধীদের নিশানায় মোদী সরকার। অচল সংসদ। এই পরিস্থিতে দিল্লির অলিন্দে পৌঁছবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাঁচদিনের সফরে দিল্লিতে মোদী বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে একাধিক দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক করতে পারেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও। এদিকে, তার আগে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। পাস হতে পারে কোনও প্রস্তাবও। সাধারণত ১৫ দিন পরপর হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। গত বৃহস্পতিবারই একটি বৈঠক হয়েছে। এরমধ্যেই ফের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ কোনও প্রস্তাব পাস হওয়ার জল্পনা তৈরি হয়েছে।
এবার বামেদের প্রশংসা অনুব্রত মণ্ডলের মুখে !
প্রায় ২ বছর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিেত যাচ্ছেন। তার থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফরে জল্পনা শুরু হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, বুধবার বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই সংকীর্ণ স্বার্থ ভুলে মোদী সরকারের বিরোধীতায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সূত্র বাতলাতে পারেন তিনি। সংসদের ভিতর-বাইরে একযোগে বিরোধীদের কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলাতেও গুরুত্ব আরোপ করার কথা বলতে শোনা যেতে পারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে।
TMC-র হয়ে এবার ত্রিপুরা দখলেও নামানো হচ্ছে পেশাদার সংস্থা IPAC-কে
সোনিয়া-রাহুল রয়েছেন, আছেন শারদ পাওয়ার, স্ট্যালিন, উদ্ধব ঠাকরেও। কিন্তু বিরোধী শিবিরে তিনিই যে আপাতত মুখ তা স্পষ্ট। তাই মমতার কাছেও এই দিল্লি সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী মমতাকে চা চক্রের আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছেন। শোনা যাচ্ছে আগামী বুধবার বিরোধীদের হাইভল্টেজ বৈঠক হতে চলেছে।
পেগাসাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে কংগ্রেস কে বামপন্থীদের সাথে নিয়ে করতে হবে : বিকাশরঞ্জন
আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সময় দিলে এই সফরে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষৎ করতে পারেন তিনি। দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। সূত্রের খবর, আগামিকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যের। এই সাক্ষাতে বাংলার দাবি-দাওয়া, রাজ্যকে আরও কোভিড টিকা পাঠানো নিয়ে সরব হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
