ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির I.N.D.I.A. জোটে বাম কংগ্রেস তৃনমূল একসাথে চললেও রাজ্যে যে বামেরা তৃনমূল বিরোধী সে কথা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বামেদের তরফে। এবার ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সিপিএম এর সাথে একজোট হয়ে কংগ্রেসের তরফেও তৃনমূল বিরোধিতার একটা বার্তা দেওয়া হল। ১ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়িতে বাম প্রার্থীর সমর্থনে একমঞ্চে প্রচার করবেন অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিম। রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে লড়াই চলবে, প্রতিক্রিয়া মহম্মদ সেলিমের।
I.N.D.I.A. জোট তৈরি হওয়ার পর দুদলের কর্মীদের মধ্যে ধোঁশায়া তৈরি হয়েছিল তৃণমূলে বিরুদ্ধে তাদের কি অবস্থান হবে তা নিয়ে। দু’পক্ষ মনে করছে , সেই ধোঁয়াশা কাটাবে ধূপগুড়ির এই সভা। এইবার সেই ধোঁয়াশাই স্পষ্ট করলেন দুই দলের নেতারা।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে যেমন কংগ্রেস প্রার্থী সমর্থন জানিয়েছিল বামেরা। তেমনই ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বামফ্রন্টের প্রার্থীকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন। যার প্রাক্কালে আগামী ১ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়িতে বাম প্রার্থীর সমর্থনে একসঙ্গে সভা করতে চলেছেন মহম্মদ সেলিম ও অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
সিপিআই(এম) ১৯৭৭ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ধূপগুড়ি আসনটি ধরে রেখেছিল, তারপরে টিএমসি প্রার্থী এই আসনে জয়ী হয়েছিল। ২০২১ সালের শেষ বিধানসভা নির্বাচনে, বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক মিতালি রায় ৪০০০ ভোটের সামান্য ব্যবধানে বিজেপির বিষ্ণু পাদা রায়ের কাছে হেরেছিলেন।
সিপিআই(এম) লোকসংগীত শিল্পী ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে প্রার্থী করেছে। প্রার্থীকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস দল। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে, সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করেছিল বাম দলগুলি।
বিজেপি কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) জওয়ান জগন্নাথ রায়ের বিধবা তাপসী রায়কে প্রার্থী করেছে, যিনি ২০২১ সালের মার্চ মাসে কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার সময় মারা গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : ২৭ দফা দাবিতে বামফ্রন্ট ট্রেড ইউনিয়নের বিক্ষোভ নৈহাটিতে
অন্যদিকে, তাৎপর্য পূর্ণভাবে ৩১ অগাস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ে বসছে বিজেপি বিরোধী জোটের তৃতীয় বৈঠক। বিরোধীদের I.N.D.I.A. জোটের যে বৈঠকে এক টেবিলে হাজির থাকবে কংগ্রেস, বামেরা ও তৃণমূল। রাহুল-সনিয়া গাঁধী থেকে সীতারাম ইয়েচুরি বা মমতা-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তিন দলেরই শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিত থাকার কথা যে বৈঠকে। এই অবস্থাতেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মুম্বাইতে দোস্তি আর ধূপগুড়ি কুস্তি দেখা যাবে সেদিন !
আরও পড়ুন : ক্যাম্পাস ও রাজ্যকে ‘আগাছা মুক্ত’ করার ডাক দিলেন সৃজন
তৃণমূলের পক্ষ থেকে বঙ্গ বাম ও কংগ্রেসের যে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হয়েছে, এই ধরণের পদক্ষেপ কাঙ্ক্ষিত নয়। যেদিন বিজেপি বিরোধী জোটগুলি একছাতার তলায় এসে বৈঠক করছে, সেদিনই এভাবে প্রকাশ্যে বাম-কংগ্রেসের তৃণমূলের বিরুদ্ধে জনসভা না করলেই পারত। যদিও কংগ্রেস ও বামেদের সাফ বক্তব্য, বাংলায় তাঁদের লড়াই বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাই ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে তৃণমূল বা বিজেপি প্রার্থীকে টেক্কা দিয়ে ভোটে জিতে নিতে একসঙ্গে সভা করার পথে তাঁরা এগিয়েছেন।