ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজর পর ছাত্র ভোট হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। ঠিক তার পরের দিন মঙ্গলবার SFI এর যাদবপুর সমাবেশ থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দ্রুত করানর কথা উঠল।
ছাত্র-মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে যাদবপুর ৮ বি বাসস্ট্যান্ড মোড়ে মঙ্গলবার সমাবেশের ডাক দিয়েছিল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে অসামাজিকদের হাত থেকে মুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এতে অভিভাবক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম, দলের পলিটব্যুরো সদস্য নীলোৎপল বসু এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী— যাদবপুরের তিন প্রাক্তনী প্রমুখ নেতারা এই সমাবেশে উপস্থিত নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : তেহট্ট সমবায় সমিতির ভোটে বাম ঝড়ের সামনে ধরাশায়ী তৃনমূল
সমাবেশে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘এক দশকের বেশি সময় ধরে ক্যাম্পাসে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে। বাম আমলে র্যাগিং-বিরোধী আইন তৈরি হয়েছিল। কেন সেই আইন প্রয়োগ করা হল না?” ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী একাধিক বার সিপিএমকে দোষারোপ করেছেন। সেলিমের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘পুলিশ এখনও পর্যন্ত যাঁদের গ্রেফতার করেছে, তাঁরা এক জনও সিপিএম নন, সিপিএম-বিরোধী। মুখ্যমন্ত্রী আর পুলিশ কমিশনার মাথা কুটেও এই ঘটনায় এক জন সিপিএমকেও গ্রেফতার করতে পারবে না!”
আরও পড়ুন : রাজ্যে তৃণমূল বিরোধী প্রচার মঞ্চে একসঙ্গে অধীর-সেলিম
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য সমাবেশ থেকে নিহত JU ছাত্রের বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সৃজন ভট্টাচার্যের বলেন, ‘‘যাদবপুরে যত ইচ্ছা সিসি ক্যামেরা লাগানো হোক। ছাত্র-ভোট হওয়ার পরে বিজয় মিছিলের ফুটেজ তুলে তা পাঠানো হবে তৃণমূলের সদর দফতরে!’’ ক্যাম্পাস ও রাজ্যকে ‘আগাছা মুক্ত’ করার ডাক দিয়েছেন তিনি।