ওয়েব ডেস্ক: আজ বুধবার থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে পরীক্ষামূলক ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। কোন এলাকায় কবে রেশন দেওয়া হবে তা ডিলার নিজের দোকানে টাঙিয়ে রাখার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোতস্না মাড্ডি। জোৎস্না মাড্ডি জানান, “জেলার ৯৬৩ টি রেশন ডিলারের মধ্যে ১৫ শতাংশ ডিলার অর্থাৎ ১৪৫ টি ডিলারকে বেছে নেওয়া হয়েছে। (আজ) ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ‘পাইলট’ প্রকল্প হিসাবে ডিলাররা গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে গিয়ে রেশন দিয়ে আসবে।”
এই বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘তিন হাজারের কিছু বেশি দোকান থেকে ট্রায়াল শুরু হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি যাবেন রেশন ডিলাররা। দু’জন মামলা করেছেন। সরকার তো করেনি। তাই ট্রায়াল হচ্ছেই। মূল অংশ শুরু হতে দেরি আছে। তার মধ্যে ডিলারদের সঙ্গে তাঁদের দাবি নিয়ে আলোচনা চলবে। আমরা আপাতত দেখে নিতে চাই পরিস্থিতি কেমন।’
গাড়ি কেনার বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান, রাজ্য সরকার গতিধারা প্রকল্পের আওতায় এক লক্ষ টাকা দিচ্ছে। সেই টাকায় গাড়ি কেনানোর ব্যবস্থাও রাজ্য সরকার করে দেবে। আর বাকি টাকা দিয়ে যিনি গাড়ি নেবেন তিনি তো তার মালিক হয়ে যাবেন। রেশন সরবরাহের পাশাপাশি সেই গাড়িকে অন্য সময়ে তিনি অন্য কাজে লাগাতে পারবেন। আমরা তো সেই কাজে বাধা দিতে যাব না।
দেশের মেট্রো শহর গুলির মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ কলকাতা, বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট
জানা গিয়েছে, প্রতি কুইন্টালে ৫০ টাকা কমিশন বাড়ানো হয়েছে রেশন ডিলারদের। বায়োমেট্রিক করতে হলে মিলবে আরও ২৫ টাকা কুইন্টাল প্রতি। এখন কমিশন মেলে প্রতি কুইন্টালে ৭৫ টাকা৷ তবে ডিলারদের দাবি, সবমিলিয়ে ২০০ টাকা কমিশন দেওয়া হোক। সেখানে আপাতত দেওয়া হচ্ছে ১২৫ টাকা। রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েও দিয়েছে। তবে কমিশন বাড়লেও তা এখনও পছন্দ হয়নি রেশন ডিলারদের।
রাজ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ল বিধিনিষেধ, এখনি চলছে না লোকাল ট্রেন
এই বিষয়ে জেলাশাসক বিধান রায় জানান, “আমাদের জেলায় জঙ্গল মহল বিশেষ রেশন সমেত অন্যান্য সব ধরনের সুবিধার রেশন পান গ্রাহকরা। রাজ্য সরকার তাদের তা নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছে। এবার গ্রাহকদের দুয়ারে রেশন পৌঁছাতে মুখ্যমন্ত্রী যে ঘোষণা করেছেন তার বাস্তবায়নের জন্য ডিলারদের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করবে জেলা প্রশাসন।কিন্তু পাইলট এই পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপদান করতেই হবে।”
