ওয়েব ডেস্ক: একুশের নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটের দিন ১০ এপ্রিল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের শীতলকুচি। পরপর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল চারটি তরতাজা প্রাণ। জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথ তখন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপাড় হয়ে যায় রাজ্য–রাজনীতি। ক্ষমতায় ফিরে ওই ঘটনার CID তদন্তের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওদিকে শীতলকুচিতে গুলিচালানোর দিন সকালে জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে গিয়ে ওই বুথেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আনন্দ বর্মন নামে এক যুবকের। সেই ঘটনার তদন্ত করছে CBI. সিআইএসএফ-এর গুলিচালানোর ঘটনায় দায়ের হয় ২টি জনস্বার্থ মামলা। বুধবার মামলাগুলির শুনানি ছিল। এবার এই ঘটনায় কেন্দ্র–রাজ্য সরকারের কাছ থেকে হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।
PAC চেয়ারম্যান পদে কি মুকুল? ৭ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে হবে অধ্যক্ষকে
বুধবার এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, শীতলকুচির গুলিকাণ্ডে সিআইডি তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট আকারে হলফনামা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। আর সিআইএসএফ গুলি কীভাবে, কোন পরিস্থিতিতে চালিয়েছিল, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকেও একটি হলফনামা নেবে আদালত। আজ কেন্দ্র–রাজ্যের কাছে এই পিটিশন তলব করে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ।
মানবাধিকার কমিশনে রিপোর্টের সত্যতা নিয়ে কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
উল্লেখ্য, ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিকের ব্যালিস্টিক টিমের সদস্যরা। ভবানীভবনে কোচবিহারের তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন সিআইডি’র আধিকারিকরা। আবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় একটি চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। এদিকে আনন্দ বর্মনের মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার শীতলকুচিতে ৫ তৃণমূল নেতা-কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি তারা।