ওয়েব ডেস্ক: বামফ্রন্টের বৈঠকে এবার উঠে এলো রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নাম। এবার তাঁকে কার্যত শায়েস্তা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হল বামফ্রন্টের বৈঠকে। একুশের নির্বাচনের আগে বারবার যে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতো জোট নেতৃত্ব সেই জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে তোলার সিদ্ধান্ত নিল বামেরা। রাজ্যপাল সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন বলে অভিযোগ তাঁদের। তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার রাজ্যপালের কাজ বিজেপির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ তুলেছেন। শাসকদল তাঁর নাম দিয়েছে পদ্মপাল। এবার বামেরাও একই পথে হাঁটল।
জানা গিয়েছে, এদিন বৈঠকে নির্বাচন পর্যালোচনা শেষ হওয়ার পর সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর চুপ করে বসে থাকলে রাজ্য–রাজনীতিতে আরও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে বামেরা। তাই এখনই রাস্তায় নামতে হবে। তাই আগামী ২৪ জুন থেকে টানা ১৫ দিন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানো হবে। এমনকি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ভূমিকা নিয়েও সোচ্চার হবেন তাঁরা।
সমস্ত বিবাদ ঝেড়ে ফেলে আগামী দিনের রণকৌশল স্থির করল বামেরা
ভোটের আগে বামফ্রন্টের বাইরে থাকা অন্যান্য বাম দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আলিমুদ্দিন। কেন্দ্র ও রাজ্য বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সেই সম্পর্ক জোড়া লাগানোর কাজ করা হবে। তাঁদেরকেও আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আবেদন করা হবে।
তবে কংগ্রেস বা আইএসএফকে ডাকা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান গিয়েছে। সেই-সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় যেভাবে প্রতিদিন নিয়ম করে রাজ্যের বিরুদ্ধে কথা বলছেন বা পদক্ষেপ করছেন তা সাংবিধানিক প্রধান হয়ে করা যায় না। বামফ্রন্ট তারও প্রতিবাদ করা হবে বলে জানান তিনি।
গ্যাস-অম্বলের সমস্যাই ভুগছেন? যেনে রাখুন ঘরোয়া টোটকা
এই ব্যাপক আন্দোলনে সামিল হতে আহ্বান জানানো হয়েছে পিডিএস এবং সিপিআই(এম–এল) লিবারেশনকে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় যেভাবে প্রত্যেকদিন নিয়ম করে রাজ্যের বিরুদ্ধে কথা বলছেন বা পদক্ষেপ করছেন তা সাংবিধানিক প্রধান হয়ে করা যায় না। বামেদের পক্ষ থেকে তারও প্রতিবাদ করা হবে। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি থেকে সরকারি সংস্থা বেসরকারিকরণ–নানা বিষয়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে বামেরা। তাতে এবার যোগ হল জগদীপ ধনখড় ইস্যু।