ওয়েব ডেস্ক: নির্বাচন তো বটেই দৈনন্দিন রাজনীতিতেও সোশ্যাল মিডিয়া এখন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভোটের আগে এই সোশাল মিডিয়া কে ভালমতো ব্যবহার করে ভোটে প্রচার চালাই BJP। এবার এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নিজেদের সংগঠন কে অন্য রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে তৃনমূল।
তৃতীয় বারের জন্য বাংলা জয়ের পর এবার ‘সর্বভারতীয়’ দল হতে জোর দিচ্ছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেই ঘোষণা করে দিয়েছেন, তাঁর লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদীকে তার চেয়ার থেকে সরানো। আর সেই জন্যই বাংলা ছারাও অন্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তারে নজর দিচ্ছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই জোরকদমে ত্রিপুরায় ফের সংগঠন গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে খবর। আর সেই কাজে মুকুল রায়ই হতে চলেছেন তৃণমূলের তুরুপের তাস। কিন্তু শুধু বাংলা আর ত্রিপুরা দিয়ে যে ২০২৪-এর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, তা বিলক্ষণ জানেন মমতা। তাই অসম, সিকিমের মতো একাধিক রাজ্যও তাদের নিশানায় রয়েছে। তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের নতুন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকেই।
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে ‘Tmc for Assam’, ‘Tmc for Sikkim’, ‘Tmc for Manipur’, ‘Tmc for Tripura’, ‘Tmc for Maharashtra’, ‘Tmc for Odisha’-র মতো একাধিক রাজ্যের জন্য আলাদা আলাদা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলি থেকে এ রাজ্যে তৃণমূলের জনকল্যাণমূলক কাজকর্মগুলির প্রচার করা হবে।
ফের ভারতসেরা বাংলা, এবার গণটিকাকরণে দেশের এক নম্বর স্থানে বাংলা
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে বসে ভিনরাজ্যে সংগঠন বিস্তারের পরিকল্পনা নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘এই তৃণমূল আলাদা। আমরা এখন ভিনরাজ্য দু-তিনটি আসন পেতে বা ভোট শেয়ার বাড়াতে যাব না। যেখানে আমাদের জেতার সম্ভাবনা থাকবে সেখানে সংগঠন বিস্তারে জোর দেব।’ তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, এবার যে বাইরের রাজ্যে ক্ষমতা দখলকে পাখির চোখ করছে তৃণমূল, সে বিষয়েও আত্মবিশ্বাসী অভিষেক। সেক্ষেত্রে গোটা দেশের বিজেপি বিরোধী শক্তি কি এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একজোট হবে? অভিষেক জানিয়েছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রামের কথা দেশের প্রতিটি কোণায় আমরা পৌঁছে দেব।’
মীনাক্ষীর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক, বিপাকে CPM
আর সেই কাজটি করতেই সোশ্যাল মিডিয়াই যে হতে চলেছে শাসক দলের তুরুপের তাস, তা স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের প্রতিটি স্তরে সোশ্যাল মিডিয়া সেলকে ঢেলে সাজাচ্ছে শাসক দল। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের ‘আইপ্যাক’-এর লাগাতার সহায়তা। ফলে ফেসবুক, ট্যুইটারকে হাতিয়ার করেই যে ২০২৪-এর দিকে এগোতে চাইছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশই।
