ওয়েব ডেস্ক: DYFI নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজে একের পর এক বিতর্কিত পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে সেই সব পোস্ট কোনটাই মীনাক্ষীর নিজের করছেন না বলে দাবি করেছেন তিনি। ফেসবুকে পোস্টটি দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি এবার ডিলিট হয়ে যাচ্ছে। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যে দলের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার সময়ে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের অফিসিয়াল পেজে ভাঙড়কে কেন্দ্র করে একটি পোস্ট পাবলিশ হয়। সেখানে লেখা হয়, গরিব মুসলমানরা শাসকদলের হাতে আর কতদিন মার খাবেন? সেক্ষেত্রে বলা হয়, আলিমুদ্দিন থেকে এক ঘণ্টার দূরত্ব হলেও ভাঙড়ে দেখতে কোনও নেতাই আসেন না। এও বলা হয়েছে, সংযুক্ত মোর্চাকে মানুষ ভোট না দিয়ে ভালোই করেছেন। মীনাক্ষীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এই পোস্টে দলকেই নিশানা করা হয়। প্রশ্ন তোলা হয় দলীয় নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও। তৈরি হয় বিতর্ক। পোস্টটি হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে তা সরিয়েও নেওয়া হয়। এই বিষয়ে মীনাক্ষীর বক্তব্য, তিনি আদৌ ওই পোস্টটি করেননি। কয়েকদিন আগে সাঁইবাড়ি নিয়ে আরও একটি বিতর্কিত পোস্ট হয় তার ফেসবুক পেজ থেকে। সেখানে কংগ্রেসকে নিশানা করা হয়।
সমস্ত বিবাদ ঝেড়ে ফেলে আগামী দিনের রণকৌশল স্থির করল বামেরা
এই প্রসঙ্গে সিপিএমের নেত্রী জানান, ‘আমার অজ্ঞাতসারে আমার ফেসবুক পেজ থেকে কিছু বিতর্কিত বিষয় পোস্ট হয়েছে। এই ফেসবুক পোস্টটি পরিচালনায় অনেকেই যুক্ত আছেন। উক্ত বিষয়ে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মীনাক্ষী বলতে পারতেন, তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে। কিন্তু তা তিনি বলেননি। এর পর থেকেই থেকেই উঠছে প্রশ্ন, দলের মধ্যেই কি তাহলে কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।
১৩ বছরের ইতিহাসে রেকর্ড, Swiss banks এ টাকা বাড়ল ভারতীয়দে
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সিপিএমের সোশ্যাল মিডিয়া টিম দেখার দায়িত্বে রয়েছেন মহম্মদ সেলিম। আইএসএফের সঙ্গে জোটের পক্ষে আগে বারবার সওয়াল করেছিলেন সেলিম। কিন্তু তিনি কার্যত এখন আড়ালে। মীনাক্ষীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ পরিচালনার দায়িত্বে তিন জন রয়েছে। তাঁদেরই কি কারোর দিকে আঙুল তুলছেন মীনাক্ষী? এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে সিপিএম নেতাদের দ্বন্দ্বে কি বোড়ে হয়ে যাচ্ছেন মীনাক্ষী? সেই প্রশ্নই এখন রাজনৈতিক মহলে ঘোরাঘুরি করছে।
