গর্ভাবস্থায় নারীদের ওজন অনেক বেড়ে যায়। প্রসবের পরেও এই মেদ কমে না। এমন পরিস্থিতিতে গর্ভাবস্থার পরবর্তী চর্বি কমানো মহিলাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। কিছু মহিলা তাদের বর্ধিত ওজন নিয়ে খুব বিরক্ত হন। মা হওয়ার পরও শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে যা ওজন আরও বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে যাদের অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান হয় তাদের ওজন কমাতে বেশি সমস্যা হয়। ডাক্তাররা প্রায় ৬ মাস কোন তীব্র ব্যায়াম করতে নিষেধ করেন। একই সময়ে, অস্ত্রোপচারের পরে পেটে চর্বি দ্রুত বাড়তে শুরু করে। তবে এই খাবারগুলিকে আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করে ধীরে ধীরে ওজন কমানো যেতে পারে।
গর্ভাবস্থার পরে কীভাবে ওজন হ্রাস করবেন
আজওয়ানের জল– প্রসবের পরে, মাকে পান করার জন্য আজওয়াইন জল দেওয়া হয়। মানুষ এই জলের স্বাদ পছন্দ না করলেও, নিয়মিত আজওয়াইনের জল পান করলে তা পেটে জমে থাকা চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এ জন্য আজওয়াইন মিশিয়ে জল ফুটিয়ে সারা দিন এই জল পান করুন। ১ থেকে ২ মাস পর, সকালে ১ গ্লাস আজওয়াইন জল পান করা শুরু করুন। এ জন্য সারারাত ১ গ্লাস জলে আজওয়াইন ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে পান করুন। এতে পেটের মেদ ও স্থূলতা কমবে।
গ্রিন টি– গর্ভাবস্থার পরে ওজন কমাতে, আপনার খাদ্যতালিকায় গ্রিন টি অন্তর্ভুক্ত করুন। গ্রিন টি-তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। খাওয়ার আগে বা পরে ১ কাপ গ্রিন টি পান করুন। আপনি চাইলে দুধ চায়ের পরিবর্তে গ্রিন টি খান। এতে স্থূলতা কমবে এবং ত্বকও উজ্জ্বল হতে শুরু করবে। মনে রাখবেন গ্রিন টি তে চিনি বা মধু যোগ করা উচিত নয়।
দারুচিনি ও লবঙ্গ– পেটের মেদ কমাতে দারুচিনি ও লবঙ্গ কার্যকরী। গর্ভাবস্থার পরে ওজন কমানোর জন্য দারুচিনি এবং লবঙ্গ সেবন উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি অনেক স্বাস্থ্য সুবিধাও প্রদান করে। ১ গ্লাস জলে ২ থেকে ৩ টি লবঙ্গ ও এক টুকরো দারুচিনি ফুটিয়ে নিতে হবে। এই জল ছেঁকে সকালে পান করুন। আপনি চাইলে এই জল সারাদিন কুসুম গরম করে পান করতে পারেন।
আরও পড়ুন: প্রেগনেন্সিতে সবসময় খালি গা গুলাচ্ছে? জেনে নিন কিছু আয়ুর্বেদিক টোটকা, উপকার মিলবে
জায়ফল দুধ– স্থূলতা কমাতে দুধে জায়ফল যোগ করে পান করুন। এটি ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করতে পারে। রাতে ঘুমানোর আগে জায়ফলের দুধ পান করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এর জন্য ১ কাপ দুধে ১/৪ চা চামচ জায়ফলের গুঁড়া মিশিয়ে হালকা গরম করে দুধ পান করুন।
বাদাম ও কিশমিশ– প্রতিদিন বাদাম ও কিশমিশ খাওয়াও দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। বাদাম একটি পরিপূর্ণ ফাইবারের উৎস এবং কিশমিশ পেট পরিষ্কার রাখে। ডেলিভারি স্বাভাবিক হলে কয়েকদিন পর পর বাদাম ও কিশমিশ খেতে পারেন। অপারেশনের মাধ্যমে শিশুর জন্ম হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাদাম ও কিশমিশ খেতে পারেন। প্রতিদিন প্রায় ১০ টি কিসমিস এবং ১০ টি বাদাম খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।