সন্তানের কি ডিমে অ্যালার্জি? শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সাথে রাখুন এই খাবার গুলি

by Chhanda Basak
Keep these foods to meet the protein needs of the body

ডিম হল পুষ্টির ভাণ্ডার। এত কম দামে শিশুদের জন্য এমন পুষ্টিকর খাবার হতে পারে না। তাই ডিমকে মধ্যবিত্তের সুপারফুড বলা হয়। এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ। যা পেশী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একই সঙ্গে এতে ভিটামিন A, B1, B9, B12, D এবং E পাওয়া যায়। এছাড়াও ডিমে আয়োডিন, সেলেনিয়াম এবং ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে। এসব উপাদানের কারণে শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশও দ্রুত ঘটে।

তবে অনেক শিশুর ডিমে অ্যালার্জি থাকে। ডিম খাওয়ার পর চাকা চাকা দাগ দেখা দেয়। এমনকি চুলকানিও হতে পারে। ডিম খাওয়ার পর অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগেন। এমতাবস্থায় মা-বাবা সন্তানের পাতে ডিম দিতে পারেন না। এদিকে অনেক পুষ্টিগুণও নষ্ট হয়ে যাবে। বিশেষ করে প্রোটিনের এত বড় উৎস বাদ দিলে শিশুর স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমতাবস্থায় মায়েদের অন্য কোনো পথ খুঁজতে হবে। তাহলে ডিমের বদলে কিছু খেয়ে শিশুর শরীরে পুষ্টির অভাব দূর হয় সে কথা ভাবতে হবে। আজকের এই নিবন্ধে সেইসব খাদ্য সামগ্রীর কিছু অংশ রয়েছে।

আরও পড়ুন: আপনার হার্ট কে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর রাখতে আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করুন ৬ টি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন

কুইনোয়া রাখুন খাবারে

১ কাপ রান্না করা কুইনোতে ৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। যেখানে একটি ডিম মাত্র ৬ গ্রাম প্রোটিন সরবরাহ করে। এর মানে হল ১ কাপ কুইনোয়াতে একটি ডিমের চেয়ে বেশি প্রোটিন রয়েছে। তাই বাচ্চার ডিমে অ্যালার্জি থাকলে মায়েরা কুইনোয়া দিয়ে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। সেই সঙ্গে ফাইবার সমৃদ্ধ কুইনো খেলে শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হবে না।

আমন্ডও খেতে পারে

আপনি প্রতিদিন সকালে নিয়মিত আপনার বাচ্চাকে ৪-৫টি ভিজিয়ে রাখা আমন্ড বাদাম খাওয়াতে পারেন। প্রোটিনের পাশাপাশি এই ড্রাই ফ্রুট স্বাস্থ্যকর চর্বিও সমৃদ্ধ। তাই আমন্ড নিয়মিত শিশুর খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়া শিশুর মনও প্রখর হবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ এই শুকনো ফল খেলে শিশুর পেট ভরা থাকবে। তাই খাওয়ার চাহিদা কম হবে। ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

পনির খেতে পারে

ডিম থেকে অ্যালার্জি থাকলেও শিশু কি ল্যাকটোজ সহ্য করতে পারে? তাই তাকে ডিমের পরিবর্তে পনির খাওয়াতে পারেন। দুগ্ধজাত পণ্যও প্রোটিন সমৃদ্ধ। তাই এই খাবার দিয়ে শিশুর শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করুন। এতে পেশির শক্তি বাড়বে। এই জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার শিশুকে খাওয়ালে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। ফলে তারা অনেক ধরনের সংক্রমণ এড়াতে পারে।

আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল প্রেশার ডায়াবেটিস থেকে মাত্র ১ কোয়া রসুনেয় নিরাময়, জেনে নিন এর আরও স্বাস্থ্য উপকারিতা

ডিমের পরিবর্তে সয়াবিন

বাচ্চা কি ডিম মুখে নিতে পারছে না? তাই তাকে ডিমের বদলে সয়াবিন সবজি খাওয়ান। ১০০ গ্রাম সয়াবিনে ৩৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। তাই ডিম সহ্য না হলেও সয়াবিন খেলে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে।

এই খাবারে ভিটামিন C, B6 এবং K রয়েছে। এতে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ পদার্থও রয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি আপনার সন্তানের হাড়কে মজবুত করবে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো করবে।

মাছ ভুলবেন না

ডিমের মতো মাছও প্রোটিনের চমৎকার উৎস। তাই আপনি যদি আপনার সন্তানের খাদ্যতালিকা থেকে ডিম বাদ দেন তবে মাছ অন্তর্ভুক্ত করুন। প্রোটিন ছাড়াও শিশু ভিটামিন D, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মতো পুষ্টিও পাবে। মাছেও ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। যার কারণে শিশুর মনও দ্রুত গতিতে কাজ করবে।

Disclaimer: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং পরামর্শগুলি অনুসরণ করার আগে, একজন ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Copyright © 2024 NEWS24-BENGALI.COM | All Rights Reserved.

google-news