ডিজিটাল ডেস্ক: অলিভ অয়েলকে খুবই স্বাস্থ্যকর তেল হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কিন্তু এটা কি ভারতীয় খাবার রান্নার কাজে লাগে?
তেল বিষক্রিয়া
আগে রান্নায় ঘি ব্যবহার করা হতো। কিন্তু মূল্যস্ফীতির কারণে এখন মানুষ সরিষার তেল বা পরিশোধিত তেল ব্যবহার করে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে তেলের অত্যধিক ব্যবহার উচ্চ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং স্থূলতা সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞরা এসব তেলের পরিবর্তে অলিভ অয়েল ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
প্রবণতা পশ্চিমা দেশ থেকে এসেছে
পশ্চিমা দেশগুলোতে অলিভ অয়েল বেশি ব্যবহৃত হতো। এখানকার বেশিরভাগ জিনিসই বেকিং, রোস্টিং, ফুটানো, স্টিমিং, সাউটিং করে তৈরি করা হয়। যেটিতে তেল খুব একটা গরম করতে হবে না।
এখানকার রান্না অন্যরকম
ভারতের রন্ধন-শৈলী পশ্চিমা দেশগুলির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে তেল টেম্পারিং, পাকোড়া ভাজার মতো কাজে খুব বেশি তাপমাত্রায় রান্না করা হয়।
আরও পড়ুন: কারি পাতা, মেথি ও পেঁয়াজের রস দিয়ে চুলে তেল তৈরি করুন, এটি লাগালে চুলের অনেক সমস্যা দূর হবে
অলিভ অয়েলে কম স্মোক পয়েন্ট থাকে
সরিষার তেল, নারকেল তেল বা ঘি এর তুলনায় অলিভ অয়েলের ধোঁয়ার পরিমাণ খুবই কম। যার কারণে এটি অন্যান্য তেলের তুলনায় দ্রুত গরম হয় এবং ধোঁয়া উঠতে শুরু করে।
ক্যান্সার হতে পারে
ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, তেলকে অনেকবার গরম করলে বা স্মোক পয়েন্টের বাইরে গরম করলে এর চর্বি ভেঙে যায়। যার সময় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর উপাদানও তৈরি হয়।
অলিভ অয়েলে এসব রান্না করবেন না
পাকোড়া তৈরি, পুরি, সিঙ্গারা , ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই ইত্যাদি খাবারে অলিভ অয়েলের ব্যবহার ক্ষতিকর হতে পারে।
আরও পড়ুন: লিভার ডিটক্স করতে, এই ৪ টি উপায়ে অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন
জলপাই তেলের উপকারিতা
তবে সাধারণ খাবারে অলিভ অয়েলের ব্যবহার উপকারী হতে পারে। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করার বিশেষত্ব রয়েছে।
Disclaimer: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং পরামর্শগুলি অনুসরণ করার আগে, একজন ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।