ওয়েব ডেস্ক: বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। ধৃত ৬ জঙ্গির মধ্যে ২জন পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত বলে জানা গেছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জঙ্গিদের পাকড়াও করেছে পুলিশ। ১৪-১৫জন বাংলাভাষী একইভাবে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছে। ধৃত জঙ্গিদের জেরায় তথ্য মেলার দাবি করেছে দিল্লি পুলিশ।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। ধৃত জঙ্গিদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসূত্র নিয়ে দিল্লি পুলিশের এমনই দাবি । পুলিশ জানিয়েছে, ‘উত্তরপ্রদেশ এটিএসের সাহায্যে ৩ জঙ্গি গ্রেফতার করা হয়েছে। কোটায় ট্রেন থেকে একজন জঙ্গি গ্রেফতার করা হয়েছে। দাউদের ভাই দানিশ ইব্রাহিমের টাকায় ভারতে নাশকতার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। ধৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে মিলল বিস্ফোরক, অস্ত্র।
পুলিশের দাবি, দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিস এই চক্রের অন্যতম সদস্য। হাওয়ালা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই চক্র অর্থ সাহায্য পেত বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই চক্রের নেটওয়ার্ক দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে একাই লড়বে কংগ্রেস, নেতৃতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
দেশে বিস্ফোরণ ঘটানোই কি ছিল মূল লক্ষ্য?
সূত্রের দাবি, দেশের একাধিক শহরে বিস্ফোরণ ঘটানো ও প্রাণহানি করাইমূল লক্ষ্য ছিল এই জঙ্গিদের। এক্ষেত্রে মূল মূল শহরকেই টার্গেট করেছিল তাঁরা। সীমান্তের ওপার থেকে এই জঙ্গিদের পুরোপুরি মদত দেওয়া হত বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
সুস্মিতা দেবকে রাজ্যসভায় মনোনীত করল তৃণমূল
স্পেশাল সিপি নীরজ ঠাকুর বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আজ বড়সড় সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। একাধিক রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ছয় জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সমীর, লালাস জীশন কমর, ওসামা, জান মহম্মদ আলি শেখ ও মহম্মদ আবু বকরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এদের মধ্যে দুজন রয়েছে, যারা পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। পরে ভারতে ফিরে আসে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে এ ব্যাপারে তথ্য মিলেছিল। ওই তথ্যে জানানো হয়েছিল যে, কয়েকটি শহরে সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষা হচ্ছে, আর এক্ষেত্রে মদত রয়েছে সীমান্তের ওপারের। এই ইনপুটের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ একটি বিশেষ দল তৈরি করে।