ওয়েব ডেস্ক: করোনাভাইরাসের ওষুধ নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়লেন Gautam Gambhir। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে ড্রাগস কন্ট্রোলারের তরফে জানানো হল, বেআইনিভাবে ফ্যাবিফ্লু কিনেছে, মজুত করেছে এবং বণ্টন করেছে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদের প্রতিষ্ঠান (Gautam Gambhir ফাউন্ডেশন)।
দিল্লি সরকারের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কোনও বিলম্ব ছাড়াই গৌতম গম্ভীর ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেহাই পাবেন না ওষুধের ডিলাররাও। ভবিষ্যতেও যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরে এরকম ঘটনা নিয়ে আসা হয়, তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
করোনার প্রাণদায়ী টোসিলিজুম্যাব ইনজেকশন নিখোঁজ? তদন্তে স্বাস্থ্য ভবনের ৩ সদস্য কমিটি
বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি বিপিন সংঘি এবং বিচারপতি জসমিত সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। তখন দিল্লি সরকারের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে নন্দিতা রাও জানান, তদন্তে উঠে এসেছে যে লাইসেন্স প্রাপ্ত ডিলারের থেকে ২,০০০ স্ট্রিপেরও বেশি ফ্যাবিফ্লু কিনেছিল গৌতম গম্ভীর ফাউন্ডেশন। যা কেনার জন্য কোনও বৈধ লাইসেন্স ছিল না সংগঠনের কাছে। যে ওষুধ মৃদু উপসর্গের করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
তার পরিপ্রেক্ষিতে মৌখিকভাবে বিচারপতি সংঘি জানতে চান, ‘তাহলে আমরা ধরে নেব যে আপনারা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন?’ তাতে সায় দেন রাও। দিল্লি হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, ‘আমরা আবার বলছি যে মানুষের জন্য সেটা করেছে গৌতম গম্ভীর। কিন্তু কীসের পরিবর্তে? যাঁদের প্রয়োজন ছিল, তাঁদের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে। আমার আজ একটা ওষুধ দরকার। কিন্তু আমি পাচ্ছি ন। কারণ অন্য কেউ ইতিমধ্যে রেখে দিয়েছে। যাঁদের প্রয়োজন, তাঁরা প্রায় দু’সপ্তাহ পাননি। আপনি দান করেছেন। কিন্তু আপনি প্রতিবন্ধকতাও তৈরি করেছেন। আপনি সমাজে (ফ্যাবিফ্লুর) আকাল তৈরি করেছেন। যে সাধারণ রোগীদের ওষুধ লাগত, তাঁরা পাননি।’ রীতিমতো কড়া সুরে বিচারপতি সংঘি বলেন, ‘স্রেফ নিজের জনপ্রিয়তা তৈরি করতে, পরবর্তী নির্বাচনের জন্য নিজেকে তৈরি করার জন্য (সেটা করতে পারি না)। এটা কখনও ভিত্তি হতে পারে না। তাই আমরা চাই যে আপনারা ব্যবস্থা নিন, যাতে অন্যদের কাছে এটা শিক্ষণীয় হয়।’