ওয়েব ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতির জেরে এমনিতেই কর্মসংস্থানের অভাবে বাড়ছে দেশের বেকারত্বের হার। এই পরিস্থিতিতে এবার একবছরের মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার শূন্যপদ বিলোপের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে ভারতীয় রেল। এর জন্য প্রতিটি জোনকে আলাদা লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। এদিকে এই পদ বিলোপের নির্দেশকে রেলের বেসরকারিকরণের পথে আরও এক ধাপ বলে অভিযোগ করেছে কর্মী সংগঠনগুলি।
দেশে রেলের ১৬টি জোন রয়েছে। এর মধ্যে নর্দার্ন রেলওয়েতে ২,৩৫০টি পদ এক বছরের মধ্যে বিলুপ্ত হবে। এছাড়া পূর্ব রেলে ১৩০০, দক্ষিণ-পূর্বে ৯০০ এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলে ৬৫০টি পদ বিলোপ করার কথা জানানো হয়েছে জোনগুলিকে। এই শূন্যপদ গুলিকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। রেলের দাবি, এই ১৩,৪৫০টি পদ বিলোপ করলেও তা যাত্রী পরিষেবাকে ব্যাহত করবে না।
Yaas এ ক্ষতিপূরণের তালিকা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
১৩,৪৫০টি পদকে ‘অতিরিক্ত’ তকমা দিয়ে রেল বোর্ডের তরফে জোনগুলিকে একটি চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘প্রযুক্তির আধুনিকীকরণের ফলে রেলের বহু পদ বর্তমানে অপ্রয়োজনীয়। বহু ক্ষেত্রে কাজের পদ্ধতি বদলে যাওয়ায় নির্দিষ্ট বিভাগে আগের তুলনায় অনেক কম কর্মীর প্রয়োজন হচ্ছে।’
এই বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, শূন্যপদ বিলোপের অর্থ এই নয় যে কারও চাকরি চলে যাবে। রেলে এমন বহু বিভাগ রয়েছে, যেখানে বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পদ খালি পড়ে রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় ধরে পদ খালি থাকলে তা অপ্রয়োজনীয় বলেই গণ্য হয়। তবে রেলের শ্রমিক সংগঠনগুলি এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব। তাদের দাবি, রেলের প্রতিটি জোনই কর্মীর অভাবে ভুগছে। এমন পরিস্থিতিতে শূন্যপদ বিলোপের এই সিদ্ধান্তের দরকার ছিল কি?