ওয়েব ডেস্ক: দেশের মাটিতে তৈরি হওয়া এই অত্যাধুনিক জ্যাকেট খুব শিগগিরিই ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক পুলিশ এক্সপো-তে এই জ্যাকেটতে তুলে ধরা হয়েছিল। তবে মনে করা হচ্ছে, এই জ্যাকেট ভারতের সেনার হাতে আসলে, তা শত্রু দেশগুলির জন্য ‘কাল’ ডেকে আনতে পারে।
ভাবা অ্যাটোমিক রিসার্চ সেন্টার তথা বার্ক-এর দ্বারা নির্মিত হয়েছে এই অত্যাধুনিক জ্যাকেট। যার ওজন বাকি বুলেট প্রুফ জ্যাকেটের থেকে অনেকটাই কম। ৯.২ কেজি ওজনের এই জ্যাকেট যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পঞ্চম প্রজন্মের এই অত্যাধুনিক বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, একে ৪৭-এর ঘাতক গুলিকে রুখে দিতে পারে। আধা সৈনিক বিভাগে এর ব্যবহার প্রভূত সাফল্য এনে দিতে শুরু করেছে। মিশ্র ধাতুতে তৈরি এই অত্যাধুনিক বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ভারতীয় সেনাকেও মজবুত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বুলেট প্রুফ জ্যাকেট নির্মাণে রোহতক থেকে কানপুর পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিটে চলছে জোরদার কর্ম প্রক্রিয়া। উল্লেখ্য, ভাবা অ্যাটোমিক সেন্টারের ন্যানো টেকনোলজি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই বুলেট প্রুফ জ্যাকেট। ফলে সহজে শত্রুর আক্রমণে এটি ঘায়েল হবে না।
কোভিড-১৯ এর কারণে স্কুল বন্ধ রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই: বিশ্বব্যাংক বিশেষজ্ঞ
প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৪ হাজার ভাবা কবচ আর পাঁচ হাজার কবচ বস্ত্র আপাতত তৈরি করা গিয়েছে। তবে এই নির্মাণ ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের খবর অনুযায়ী, সরকারি সংস্থার পাশাপাশি, দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও যাতে এই জ্যাকেটের নির্মাণ করতে পারে তার দিকে তাকিয়ে মন্ত্রক। তবে আপাতত দেড় থেকে দু লাখ পর্যন্ত বুলেট প্রুফ জ্যাকেটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে দেশে। এই চাহিদা রয়েছে শুধু সেনার। এছাড়াও আধা সৈনিক ও পুলিশ বাহিনীতেও রয়েছে এই ধরনের জ্যাকেটের চাহিদা।