নয়াদিল্লি: ২০১৯ ও ২০২০ সালে সংসদ চার টি নতুন শ্রম আইন পাশ করে। ওই নতুন শ্রম আইনের চারটি মূল ভিত্তি হল, বেতন, শিল্প সম্পর্ক, সামাজিক সুরক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রে চাকরি-জনিত সুরক্ষা-স্বাস্থ্য এবং কাজের পরিবেশ। আগামী কয়েকমাসের মাসের মধ্যেই কার্যকর হতে চলেছে এই নয়া শ্রম আইন। কিন্তু এই আইনের ফাঁদে পরে কমতে চলছে কর্মীদের টেক হোম স্যালারির পরিমাণ। বাড়তে চলেছে পিএফ অবদানের পরিমাণ। যা সাধারণ মানুষের উপর অতিরিক্ত বোঝা হিসাবে জাঁকিয়ে বসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
মূল বিষয়টি তাহলে কি ?
- নতুন মজুরি কোডের অধীনে, ভাতা ৫০% কেটে দেওয়া হয় যার অর্থ একজন কর্মীর মোট বেতনের ৫০% বেসিক বেতন হবে।
- নতুন নিয়মগুলি প্রভিডেন্ট ফান্ডের অবদান বৃদ্ধি করবে যা বেসিক বেতনে গণনা করা হয়।
শ্রম মন্ত্রক ২০২১ সালে ১ এপ্রিল থেকে নয়া শ্রম আইন কার্যকর করার কথা ভেবেছিল তবে নির্দিষ্ট কিছু কারণে স্থগিত রাখা হয় এই আইন। শ্রম ভারতের সংবিধানের আওতাধীন বিষয় এবং নতুন বিধিগুলি উভয় রাজ্য এবং কেন্দ্রকে প্রয়োগ করতে হবে। এই আইন স্থগিত রাখায় স্বস্তি পেয়েছিল সংস্থাগুলো। এরফলে তারা তাদের কর্মীদের বেতন কাঠামো পুনর্নির্মাণের জন্য আরও বেশি সময় পেয়ে যায়। নতুন আইনের কারণে কর্মীদের কস্ট-টু-কোম্পানির (CTC) বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ বছরে একটি সংস্থা একজন কর্মীর জন্যে কতটা ব্যয় করছে।
টসিলিজুমাব উধাওকাণ্ডে স্বাস্থ্য ভবনে জমা পড়ল জোড়া তদন্ত রিপোর্ট
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্য প্রদেশ, হরিয়ানা, ওড়িশা, পাঞ্জাব, গুজরাট, কর্ণাটক এবং উত্তরাখণ্ডে ইতিমধ্যেই খসড়া আইন প্রচার করা হচ্ছে এবং অন্য কয়েকটি রাজ্যে এই আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। নতুন নিয়মগুলি কয়েক মাসের মধ্যে প্রয়োগ করা হবে এবং সংস্থাগুলিকে আরও কিছুটা সময় দেওয়া হবে।
ডেল্টা প্রজাতি রুখতে কমাতে হবে টিকাকরণের ব্যবধান, ল্যানসেটের সমীক্ষায় অস্বস্তিতে কেন্দ্র
নতুন শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার পর কর্মীদের বেসিক বেতন এবং প্রভিডেন্ট ফান্ডে উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিবর্তন হতে চলেছে। শ্রম সংক্রান্ত ২৯টি আইন সংস্কার ও সংশ্লেষ করে চারটি নতুন শ্রম বিধি চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন নিয়ম চালু হলে শ্রমিকদের কাজে যুক্ত হওয়া এবং ছেড়ে দেওয়া আরও সহজ হবে। কাজের সময়ের ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন আসবে।
ট্রেনের পর এবার খেলার মাঠ ও স্টেডিয়ামগুলিও বিক্রির সিদ্ধান্ত রেলের
নতুন শ্রম আইন অনুসারে, কর্মচারীর মোট বেতনের মধ্যে ভাতার অংশ ৫০ শতাংশের বেশি হওয়া চলবে না৷ এর ফলে নিয়োগকারীদের খরচ বাড়বে এবং কর্মীদের টেক হোম স্যালারি কমবে৷ নতুন এই নিয়ম মানতে গিয়ে কর্মচারীদের মূল বেতন বাড়াতে হবে নিয়োগকারীদের৷ যাতে নিয়োগকারী এবং কর্মচারী দুই তরফেই পিএফ অনুদানের অংশ বাড়ানো যায়৷