ওয়েব ডেস্ক: কিছুদিন আগেই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূলে যোগ দিয়েছিলেন। শিলচরের মেয়ের উপর ভরসা রেখে কংগ্রেস–বিজেপি দু’পক্ষকেই বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করা হচ্ছে। মানস ভুঁইয়া সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার একটি আসন খালি হয়েছে। সেই আসনেই সুস্মিতা দেবকে প্রার্থী করল তৃণমূল।
আজ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, সুস্মিতা দেবকে সংসদের উচ্চকক্ষে মনোনীত করতে পেরে দল গর্বিত বলে মনে করছে। দলীয় সূত্রে খবর, এখন সুস্মিতাকে ত্রিপুরার সংগঠনে কাজে লাগানো হয়েছে। সেখানে সুস্মিতা ম্যাজিক দেখালেও তাঁকে উত্তর–পূর্ব রাজ্যে পড়ে থাকতে হচ্ছে। আর ওই রাজ্যে বিপ্লব দেব সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনছে। তাই রাজ্যসভার সদস্য হয়ে গেলে সুস্মিতা সেখানে আরও নিরাপদে সংগঠনকে মজবুত ভিতের উপর দাঁড় করাতে পারবেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
টুইট করে তৃণমূলের তরফে বলা হয়, ‘মহিলাদের শক্তিশালী করে তোলা ও রাজনীতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য, যা আমাদের সমাজকে আরও অনেক কিছু অর্জনে সাহায্য করবে’।
ত্রিপুরাতে যেন একটাই দল থাকবে, সীতারাম ইয়েচুরিকে পাশে নিয়ে অভিযোগ মানিক সরকার
পরের মাস অর্থাৎ ৪ অক্টোবর রাজ্যসভার ভোট রয়েছে। ওই দিনেই হবে গণনা। তার দিন ২০ আগে রাজ্যসভায় সুস্মিতা দেবকে পাঠানোর কথা জানাল দল।
রাজ্যসভায় মনোনয়ন পেয়ে সুস্মিতা দেব বলেছেন, ‘আমি উচ্ছ্বসিত এবং মমতাদি ও অভিষেকের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি এই সম্মান পাওয়ার যোগ্য কি না জানি না, কিন্তু আমার দলের দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত।’