ওয়েব ডেস্ক: কেরলের তিরুবনন্তপুরম পুরসভার মেয়র আরয়া রাজেন্দ্রন। গত বছর ডিসেম্বরে নির্বাচনে এলডিএফ-এর জয়ের পর মেয়র হিসাবে ২১ বছরের তরুণী আরয়ার নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। তিরুবনন্তপুরম মেয়র আরয়া রাজেন্দ্রনাকে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসিত করা হয়েছিল। এবার সেই সময় থেকেই তাঁকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের বন্যা তুলেছেন কেরলের বিজেপি নেতৃবৃন্দ। বিরোধী বিজেপি নেতৃত্বের কটাক্ষের জবাব এবার দিলেন দেশের কনিষ্ঠতম মেয়র। ‘এতদিন চুপ থেকেছি, আর নয়,’ পুরসভার বৈঠকে বসেই স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি।
কখনও তাঁকে ‘শিশু’ বলেছেন বিজেপি নেতৃবৃন্দ। কখনও অনভিজ্ঞ যুবতীও বলা হয়েছে তাঁকে। ‘একজন লোয়ার কেজি ছাত্রী থেকে সরাসরি মেয়র,’ এমন মন্তব্যও করেছেন বিরোধী বিজেপি নেতা।
এদিন আরয়া সর্বদলীয় বৈঠকে তাঁর বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি বলেন, ‘কারও দুর্বলতার সুযোগ নেবেন না। আমি ভাল করেই জানি কে কি বলেছেন। আমি এখানে তাঁদের নাম নিচ্ছি না। কিন্তু আপনার একটা ফেসবুক পোস্ট দেখলাম…’
কি সেই ফেসবুক পোস্ট? বিজেপি নেতার দিকে তাকিয়ে আরয়া বলেন, ‘একটা লোয়ার কেজির পড়ুয়াকে মেয়র করে দিলে সেটা কেমন দেখাবে? এমনটা লিখে পোস্ট করেছেন আপনি।’
তৃণমূলকে কি ‘আন্ডার এস্টিমেট’ করলেন নেতারা? সীতারামের প্রশ্ন রাজ্য নেতৃত্ব কে
এর পরেই নিজের জবাব দেন দেশের কনিষ্ঠতম মেয়র, ‘গত ৬ মাসে আমি মেয়র হওয়ার পর আপনার অনেক সমালোচনা শুনেছি।’ এরপরেই একের পর এক সমালোচনা উল্লেখ করতে শুরু করেন আরয়া। তাঁকে বিরোধীরা চেঁচিয়ে বাধা দিতে গেলেও বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেননি আরয়া।
তিনি বলেন, ‘এমনটা যারা বলেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনও প্রতিশোধ নিই না। কিন্তু আপনারা যা যা সব পোস্ট, টুইট করেছেন, সেটা যদি দেখাই, একজন মেয়রকে সেটা করা যায়?’
তিনি বলেন, ‘আপনার পোস্ট দেখে বোঝা দায়, একজন মহিলার উদ্দেশে এভাবে কথা বলে? আপনার বাড়িতেও তো মা-বোন আছেন, তাঁরাও তো মহিলা। মহিলাদের সম্মান করতে জানেন না?’
তৃতীয় তরঙ্গ “অনিবার্য, ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে ভারতকে আঘাত করতে পারে”: AIIMS চিফ
‘আমায় যদি দল মেয়র করে থাকে, তবে আমার সেই ক্ষমতা, যোগ্যতা রয়েছে বলেই করা হয়েছে,’ বলেন আরিয়া।
আরয়া রাজেন্দ্রন কেরলের বালসংঘমের রাজ্য সভাপতি ও সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর রাজ্য পর্যায়ের নেত্রী। কেরল তো বটেই, সারা দেশে তিনিই কনিষ্ঠতম মেয়র।
তিরুবনন্তপুরমের মুডাভানমুকাল ওয়ার্ড থেকে জেতেন অল সেন্টল কলেজের বিএসসি-র পড়ুয়া। তাঁর বাবা একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান ও মা এলআইসি এজেন্ট।
