আর ক্যাম্পে নয়, এবার বাড়ি বাড়ি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফর্ম দিচ্ছেন আশাকর্মীরা

by Chhanda Basak

ওয়েব ডেস্ক: দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শুরুর পর থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফর্ম তোলার জন্য হুড়োহুড়ি অব্যাহাত রয়েছে। করোনা বিধিনিষেধ একেবারে মানা হচ্ছেনা বললেই চলে। তাই এবার কিছুটা হলেও অন্য পথে হেঁটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। বাড়িতেই ফর্ম পৌঁছে দিচ্ছেন আশাকর্মীরা। এতে অত্যন্ত খুশি বাড়ির মহিলারা। লাইনে অনন্তকাল অপেক্ষাও করতে হচ্ছে না তাঁদের। 

আর ক্যাম্পে নয়, এবার বাড়ি বাড়ি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফর্ম দিচ্ছেন আশাকর্মীরা

প্রশাসন সূত্রে খবর পূর্ব মেদিনীপুরের ২৫টি ব্লকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শুরুর নির্দিষ্ট দিনের আগেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশাকর্মীরা বাড়ি বয়ে এসে এই ফর্ম দিয়ে যাচ্ছেন। তবে ফর্ম জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু সেই আগের নিয়মই বলবত থাকছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ক্যাম্পে গিয়েই ফর্ম জমা দিতে হবে। তবে বাড়িতে বসেই ফর্ম পাওয়া কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন বাসিন্দারা।

রোগীর ‘বন্ধ’ হইয়ে যাওয়া হৃৎস্পন্দন ফেরালেন কলকাতা মেডিক্যালের চিকিৎসকরা

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন অত লাইনে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল না। তবে নতুন ব্যবস্থায় অনেকেরই সুবিধা হবে। নন্দকুমারের বাসিন্দা রেবতী ভুইয়াঁ বলেন, বাড়িতে ফর্ম পেয়ে আমরা খুব খুশি। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে ভিড় এড়ানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফর্ম পূরণের জন্য আশা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরাও ফর্ম পূরণে সহায়তা করবেন।

রেড ভলান্টিয়ার্সদের সাহায্যে ১৩ দিন ধরে রাস্তায় পড়ে থাকা প্রৌঢ় ফিরলেন বাড়ি

এই ঘটনা নিয়ে আবার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এসব আইওয়াশ ছাড়া কিছু নয়। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে ফর্ম নর্দমার ধারে পড়েছিল। এবারের ক্ষেত্রেও মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে।’ অন্যদিকে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘বিজেপিও ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের ফর্মের নাম করে বাড়ি বাড়ি কাগজ দিয়েছিল। কিন্তু মানুষ তাতে কিছু পায়নি।’

Copyright © 2025 NEWS24-BENGALI.COM | All Rights Reserved.

google-news