ওয়েব ডেস্ক: আলোচনা হয়েছে বেশ কয়েক দফা, তাও বেরোল না কোন রফা সূত্র। শেষ পর্যন্ত শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে একেই সাথে প্রার্থী দিচ্ছে বাম ও কংগ্রেস। সোমবারই বামেদের তরফ থেকে বিমান বসু এই কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেন। মনোনয়ন জমাদেওর শেষ দিন শুক্রবার। কংগ্রেসের তরফে বৃহস্পতিবার রাতে শান্তিপুর কেন্দ্রের জন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। লক্ষণীয় ভাবেও এআইসিসি-র আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই এ দিন রাজু অবশ্য মনোনয়ন জমা দিয়ে দিয়েছেন! তবে বাকি তিনটি আসনে (দিনহাটা, খড়দহ ও গোসাবা) প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, শেষ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে বেশ টানাপড়েন চলছিল। শেষপর্যন্ত বামেরা জোট সূত্র মেনে নিজেদের অবস্থান থেকে পিছিয়ে আশে, প্রার্থী দ্যায় কংগ্রেস। আসন টি অবশ্য যেতে বিজেপি। জোটের প্রার্থী চলে যান তৃতীয় স্থানে। এ বারও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে অনুরোধ করেছিলেন, তাঁরা শান্তিপুরে লড়তে চান। অধীরবাবু তাঁকে বলেন, নদীয়া জেলা কংগ্রেসও ওই আসন ছেড়ে দিতে চায় না। জেলায় কথা বলে আলিমুদ্দিনকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তার পরে কয়েক দিনে কংগ্রেসের তরফে কিছু জানানো না হওয়ায় সিপিএম প্রার্থী হিসেবে সৌমেন মাহাতোর নাম ঘোষণা করে দেয়। এর পর প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে বুধবার ভার্চুয়াল আলোচনা করেন অধীরবাবু। সেখানে ঠিক হয়, বিধানসভা ভোটের সময়কার সূত্র মেনে শান্তিপুরে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে, বাকি তিন কেন্দ্র বামেদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
শান্তিপুর কেন্দ্রে CPIM এর বাজি এলাকার পরিচিত নেতা সৌমেন মাহাত
বাম কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তের প্রতিফলন কতখানি ভোটের বাক্সে পরবে সেটা সময় বলবে। তবে তবে এলাকায় পরিচিত নেতা ও কাউন্সিলর সৌমেন মাহাত কে সামনে রেখে শান্তিপুরে লড়াই দেওয়া যাবে বলেই মনেকরছে সিপিএমের। আবার অনেকের মতে সিপিএম ও কংগ্রেস, দু’পক্ষেরই প্রার্থী থাকায় ভোট কাটাকাটির ফলে আখেরে বিজেপির অসুবিধা হবে।