ওয়েব ডেস্ক: আবার কংগ্রেসে বড় ধাক্কা, দল ছাড়লেন ফরাক্কার ৫ বারের কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন মইনুল হক। কংগ্রেসের সম্পাদক, ঝাড়খণ্ডের পর্যবেক্ষকের পদ ছিলেন তিনি। আজ সনিয়া গান্ধী, অধীর চৌধুরীকে চিঠি দিয়ে সম্পাদকের পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর জঙ্গিপুরে প্রচারে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর,সেদিনই তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন ফরাক্কার এই প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে, ফরাক্কা ব্লক কংগ্রেস সভাপতি এবং ফরাক্কা থেকে নির্বাচিত ২ জেলা পরিষদ সদস্যও শাসক দলে যোগ দেবেন।
১৯৯৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত, টানা ফরাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন মইনুল হক। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। ২০১৩ থেকে এআইসিসি-র সম্পাদক পদে আছেন মইনুল। অধীরের নিজ গড়ে কংগ্রেসের এভাবে ভাঙন প্রসঙ্গে খোদ অধীর বলেন, “তৃণমূলকে দেখলে পুরনো কংগ্রেস বলে মনে হয়। যারা দল ছেড়ে অন্য দলে যাবেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ প্রকাশ করে লাভ নেই।” মইনুলের এভাবে দলত্যাগের জেরে বঙ্গে কংগ্রেসের পরিণতি যে সঙ্গিন তা মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরানো হল দিলীপ ঘোষকে, তার জায়গাই এলেন সুকান্ত মজুমদার
প্রথমে জম্মু-কাশ্মীর পরে, ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পান তিনি। এবার বিধানসভা ভোটে, ফরাক্কায় লড়ে তৃতীয় স্থান পেয়েছিলেন তিনি। কংগ্রেসও মুর্শিদাবাদে খাতা খুলতে পারেনি।
লোকসভা ভোটের আগে একাধিকবার, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন মইনুল হক। তখন অবশ্য কংগ্রেস ছাড়েননি তিনি। এবার সেই তিনিই মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের দুর্দিনে ছাড়লেন! আর সেই সঙ্গে সম্ভবত শাসক দলে নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন। এদিকে, ৩০ সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থীকে নিয়ে বিতর্ক যেন কিছুতেই থামছে না।
