ওয়েব ডেস্ক: একদিকে রাজ্যজুড়ে যখন শিশুরা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে, তখন নতুন করে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউও। এই অবস্থায় স্বাস্থ্য দফতর চাইছে, প্রত্যেকে যেন জানতে পারে, কোথায় কোন হাসপাতালে কত সংখ্যক শয্যা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে গ্রামীণ হাসপাতাল, ব্লক হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-সহ প্রত্যেকটি জায়গায় কত এসএনসইউ, পিকু, নিকু রয়েছে, কত পেডিয়াট্রিক বেড কত রয়েছে তা সবটাই সাধারণ জ্ঞাতার্থে জানিয়ে দেওয়া হল।
সেই উদ্দেশেই এবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কোথায় কত এসএনসইউ, পিকু, নিকু শয্যা কার্যকরী অবস্থায় রয়েছে তা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষকে শিশুরোগের শয্যা সম্পর্কে অবহিত করতেই এই পদক্ষেপ।
বছর দেড়েক আগে কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় বিভিন্ন হাসপাতালে যখন বেডের হাহাকার পড়ে গিয়েছিল চারিদিকে, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি বিশেষ ঘোষণা করা হয়। কোন হাসপাতালে কত শয্যা রয়েছে তার খতিয়ান ওয়েবসাইটে তুলে ধরার কথা বলা হয়েছিল। এবার সেই ঘোষণাকেই নতুন করে তুলে ধরছে স্বাস্থ্য দফতর।
শিশুদের শরীরে RS ভাইরাস, তবে কি তৃতীয় ঢেউ এর ইঙ্গিত!
সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, অজানা জ্বর নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর তৎপর। জেলায় জেলায় শিশুদের আইসিইউ বা পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা পিকুর বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়। এক ধাক্কায় সেই সংখ্যা ২৪৪ থেকে বাড়িয়ে ৬৭৯ করা হয়। সে সংক্রান্ত নির্দেশিকাও জারি হয় স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। এ ছাড়া এসএসকেএম, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বাড়ানো হয়েছে নিউবর্ন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা নিকুর বেডের সংখ্যাও। এত দিন পর্যন্ত রাজ্যের ২১ টি হাসপাতালে পিকুর সংখ্যা ছিল ২৪৪ টি। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে সেখানে আরও ২৪৪টি শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাজ্যের মানুষের সুবিধার্থে বিনা খরচে টেলি মেডিসিনে মাধ্যমে চিকিৎসার নতুন প্রকল্প ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। কোনও ভাবেই শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে আপোষ করতে নারাজ রাজ্য। এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম, নেগেটিভ প্রেশার ভেন্টিলেশন ও কিছু মেরামতির কাজের জন্য টাকা দেওয়া হবে হাসপাতালগুলিকে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের অধীনে কয়েকটি হাসপাতাল রাখা হয়। এই সব হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে ওই হাসপাতালগুলিতে পাঠানো হবে চিকিৎসার জন্য।