ওয়েব ডেস্ক: শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে বাম, কংগ্রেস, তৃনমূল, বিজেপি সকলেই। কিন্তু ২০র দশকের আগে বাম কংগ্রেসের লড়াই মূলত দেখে এসেছে শান্তিপুর। একটা সময় বামেদের শরিক দল আরসিপিআই এই আসনে প্রার্থী দিয়ে এসেছে। আরসিপিআই প্রার্থী বিমলানন্দ মুখোপাধ্যায় রাজ্যে বাম সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। কিন্তু ১৯৯০ এর পর থেকে বদলেছে রাজনৈতিক অঙ্ক। তারপর থেকে জয় অধরা রয়ে গিয়েছে বামেদের।
২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেস জোট হয় বিধানসভায়, প্রার্থী দেয় কংগ্রেস। কিন্তু জয়ী হওয়ার পর সেই কংগ্রেস বিধায়ক অবশ্য পরে তৃণমূল হয়ে পাড়ি দেন বিজেপিতে। চার মাস আগের বিধানসভা নির্বাচনেও মোর্চার তরফে শান্তিপুরে প্রার্থী ছিল কংগ্রেসের। তবে তা নিয়েও আগে সিপিএমের সঙ্গে টানাপড়েন স্পষ্ট ছিল। আগে দেওয়াল লিখনও শুরু করে দেয় সিপিএম। পরে জোটের সমঝোতার কারণে পিছু হটে।
শান্তিপুর উপনির্বাচনে প্রচারে এসে বাম নেতৃ মীনাক্ষীর নিশানায় মমতা
২০২১ বিধানসভা ভোটের পর সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন অজয় দে। যিনি নয়ের দশকের গোরার দিকে বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই শান্তিপুরে টানা দীর্ঘদিন জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে। ২০১১ সালে কংগ্রেসের প্রতীকে কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের তরফে শান্তিপুরে জয়ী হন কংগ্রেসের অজয় দে। জয়ী হন তিনি। ২০১৩ সালে তিনি দলত্যাগের পরে ইস্তফা দেন এবং তৃনমূলে চলে জান। ২০১৪ সালের উপনির্বাচনে বামেদের তরফে প্রার্থী দেয় সিপিএম।
তৃনমূলের সাথে দূরত্ব বাড়তেই এবার বামেদের কাছাকাছি আশার চেষ্টা কংগ্রেসের
২০১৬ সালে বাম কংগ্রেস জোটের তরফে শান্তিপুরে প্রার্থী দেয় কংগ্রেস। সেবারে জয়ী হয় তারা। প্রাপ্ত ভোট ছিল প্রায় ৫১.৭৬ শতাংশ। আবার দু’বছর আগের লোকসভা নির্বাচনে আলাদা লড়াই করে বাম ও কংগ্রেস। সে বারে কংগ্রেসের ভোট নেমে আসে ১.৬৬ শতাংশ এবং সিপিএমের ৫.৫৫ শতাংশে। প্রবল উত্থান হয় বিজেপির। মাস চারেক আগের বিধানসভা ভোটে মোর্চার তরফে কংগ্রেস প্রার্থী পান ৪.৪৮ শতাংশ। ওই কেন্দ্রে জেতে বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে তৃণমূলের অজয় দে।
জঙ্গলে প্রেমিকের সঙ্গে ‘আপত্তিকর অবস্থা’য় হাতেনাতে ধরা পড়লেন BJP নেত্রী!
কিন্তু এই এই উপনির্বাচনে চার মাস আগের সেই হিসাব একেবারে ওলটপালট হয়ে যেতে পারে বলে মনেকরছে রাজনৈতিক মহল। দীর্ঘ সময় জয়ের থেকে দূরে থাকলেও এ বার বামেরা সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাচ্ছে শান্তিপুরে। দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের পরিচিত মুখ সৌমেন মাহাত কে প্রার্থী করেছে বামেরা। কিছুদিন আগেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সৌমেন মাহাতর হয়ে প্রচার সেরে গেছেন শান্তিপুরে। এর আগের ভোটে দেখা গিয়েছে বাম ভোট যতটা কমেছে তত বৃদ্ধি হয়েছে বিজেপির। এ বার সেই ভোট ফিরিয়ে আনার মরিয়া লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বামেরা। যদি সেটা সম্ভব হয় পাটিগণিতের হিসেবেই বিজেপির দুর্বল হওয়ার কথা। তবে আগামীদিনে বিজেপিকে পিছনে ফেলে বামেরা এগোতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার।