ওয়েব ডেস্ক : বুস্টার ডোজ দিয়ে পার পাওয়া যাবে না, এই দিন এমনি বললেন WHO প্রধান। বুধবারও সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, “এইধরনের বুস্টার টিকাকরণ কর্মসূচি চললে প্যানডেমিক শেষ হওয়ার বদলে আরও দীর্ঘায়িত হবে। যে সমস্ত দেশে ইতিমধ্যেই জনসংখ্যার বড় অংশ করোনা টিকা পেয়ে গিয়েছে, সেখানে আরও টিকা সরবরাহ করা হলে, ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ও অভিযোজনের আরও সুযোগ দেওয়া হবে।”
পাশ্চাত্যয়ের দেশগুলিতে যেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে, সেখানেই এমন অনেক দেশও রয়েছে, যেখানে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকও এখনও করোনা টিকা পাননি। WHO প্রধান টেড্রোস আধানম বলেন, “করোনার গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ও মারা যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে অধিক সংখ্যকই টিকা প্রাপ্ত নন, এমন ব্যক্তি।”
যত দ্রুত সম্ভব বিশ্বের ৪০ শতাংশ জনগণ এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে যাতে বিশ্বের ৭০ শতাংশ জনগণকে করোনা টিকা দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্যমাত্রাই স্থির করতে বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর। বর্তমানে যে করোনা টিকাগুলি রয়েছে, তা ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষম, এই কথা মাথায় রাখার পরামর্শও দেন তিনি।
৫০০ কিলোমিটার দূরে হানতে পারবে আঘাত, ভারতের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রলয়’
WHO এর তরফে নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যারা ওমিক্রন আক্রান্ত বা সন্দেহজনক আক্রান্তের সংস্পর্শে যাবেন, তারা যেন অবশ্যয়ই মেডিকেল মাস্ক পরে থাকেন। যেখানে হাওয়া চলাচল কম, সেখানে এন-৯৫, এফএফপি২ জাতীয় মাস্ক পরতে হবে।