ওয়েব ডেস্ক: ফের কলকাতার মেয়র হলেন ফিরহাদ হাকিম। চেয়ারম্যান করা হল মালা রায়কে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এই ঘোষণা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। কলকাতা পুরভোটে বিপুল জয়। আর তারপরই বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডেপুটি মেয়র হলেন অতীন ঘোষ। ১৩ জন মেয়র পরিষদের সদস্য হলেন। নাম রয়েছে দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার, বাবু বক্সী, আমিরুদ্দিন ববি, সন্দীপন সাহা, জীবন সাহা, রাম পিয়ারী রাম, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, তারক সিং, মিতালী বন্দ্যোপাধ্যায়, জীবন সাহা, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, স্বপন সমাদ্দারের।
এদিন শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের জয়ী ১৩৪ জন কাউন্সিলরকে অভিনন্দন জানান। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী নতুন চেয়ারম্যানের নাম প্রস্তাব করেন। কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান হিসাবে মালা রায়ের নাম প্রস্তাব করেন সুব্রত বক্সী। কলকাতা পুরসভার দলনেতা হিসাবে ফিরহাদ হাকিমের নাম প্রস্তাব করেন বক্সী। দুই প্রস্তাবেই উঠে আসে সমর্থনের হাত।
একই সঙ্গে ১৬টি বরোর চেয়ারম্যানের নামও এদিন ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ১ নম্বর বরো কমিটির দায়িত্বে তরুণ সাহা, ২ বরো সামলাবেন শুক্লা ভোঁড়, ৩ বরো অনিন্দ্যকিশোর রাউত, ৪ বরোয় সাধনা বোস, ৫ বরো রেহানা খাতুন, ৬ বরো সানা আহমেদ, ৭ বরো সুস্মিতা ভট্টাচার্য, ৮ বরো চৈতালি চট্টোপাধ্যায়, ৯ বরো দেবলীনা বিশ্বাস, ১০ বরো জুঁই বিশ্বাস, ১১ বরো তারকেশ্বর চক্রবর্তী, ১২ বরো সুশান্ত ঘোষ, ১৩ রত্না শূর, ১৪ বরো সংহিতা দাস, ১৫ বরো রঞ্জিত শীল, ১৬ বরো সুদীপ পোলে।
ফের বসতে চলেছে দুয়ারে সরকার, কোন কোন প্রকল্প থাকছে জানিয়ে দিল নবান্ন
দক্ষিণ কলকাতার মহারাষ্ট্র ভবনে দলের নেতাদের সঙ্গে ওই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিলেন, ”এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ভারতে কোথাও করে দেখাতে পারবেন না। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও কলকাতা পুলিশকে ধন্যবাদ এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য়। যত জিতব, তত নম্র হবে। অহংকারের জায়গা তৃণমূলে নেই।” তিনি যে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী।
একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘কথা কম কাজ বেশি। যত না কাজ করি তার চেয়ে বেশি বিবৃতি দিই। এটা করলে চলবে না। এগুলো BJP-কংগ্রেস-CPIM-এর অভ্যাস। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিবৃতি দিয়ে কুৎসা রটায়। তা করলে চলবে না। মানুষের কাজ করতে হবে। মাটির দিকে তাকিয়ে মাটির কথা চিন্তা করাটা দরকার।’
বাঁশ বাগানে লুকনো বস্তা! খুলতেই খুলতেই পাওয়া গেল তাজা বোমা
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘অনেক কুৎসা, অপপ্রচারের পরও আমরা মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদের জন্য জিততে পেরেছি। নতুন করে কর্মযজ্ঞ শুরু হবে। ১০ বছর ধরে যে কাজ করেছেন তা আরও ভালো করে করতে হবে।’ বিরোধীদের কুৎসা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ভারতবর্ষে কোথাও হয়নি। আমাদের বদনাম দিয়েছে আমরা নাকি হিংসা করেছি। আমরা করিনি। এটা গণতন্ত্রের উৎসব। গণতন্ত্রের উৎসবে গণ জয় হয়েছে।’ দলনেত্রী হিসেবে নির্বাচিতদের এদিন মমতা বলেন, ‘ভাল কাজ করলে দল দেখবে। এখানে কোনও ব্যক্তিগত লবি নেই। তৃণমূলে একটাই লবি দল। একটাই নেতা মা-মাটি-মানুষ।’
তিনি এদিন বলেন, ”সবাইকে হয়তো জায়গা দিতে পারব না। ৪০ জন নতুন মুখ এসেছে। তাদের সবাইকে ভালো করে কাজ শিখতে হবে। মনে রাখবেন ভালো কাজ করলে মানুষ প্রশংসা করবে। খারাপ কাজ করলে ভুল বার্তা যাবে। আজ থেকেই এলাকা ক্লিন করতে শুরু করবেন। যদিও আপনাদের শপথ এখনও হয়নি। সব হোর্ডিং, পোস্টার খুলে ফেলতে হবে। এর পর রাস্তা ক্লিয়ার, রং করা, নিকাশি দেখা, ডেঙ্গু সব বিষয়ে দেখতে হবে। আগামী ৬ মাস বাদেই রিপোর্ট কার্ড নেব।”