ডিজিটাল ডেস্ক : ঠাণ্ডার দিনে হাঁপানি রোগীর সংখ্যা বাড়ে। ঠাণ্ডার দিনে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায় এবং দূষণ বেড়ে যায় যার কারণে হাঁপানি রোগীদের শ্বাসকষ্ট হয়। বাতাসের মান খারাপের কারণে হাঁপানি রোগীদের সমস্যা বাড়ে। অ্যাজমা রোগীরা তাদের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ না করলে আক্রমণের শিকার হতে পারে। বর্তমানে দিল্লি এনসিআর সহ অনেক রাজ্যের বায়ুর মান খারাপ, এমন পরিস্থিতিতে হাঁপানি রোগীদের সমস্যা দ্বিগুণ হতে পারে। এই নিবন্ধে আমরা 3 টি স্বাস্থ্যকর টিপস জানব যা অনুসরণ করে হাঁপানি রোগীরা এই মৌসুমে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারেন।
1. খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়ান
অ্যাজমা রোগীদের খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এটি ফুসফুসকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন-E, ভিটামিন-ডি এবং ওমেগা-3 অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির সাহায্যে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করা হয়।
আরও পড়ুন : কিউই ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং পুষ্টির তথ্য জানুন
2. হাঁপানি রোগীদের নেবুলাইজার ব্যবহার করা উচিত
হাঁপানি রোগীদের এই মৌসুমে নেবুলাইজার ব্যবহার করা উচিত। ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। আপনার বাড়িতে যদি কোনো হাঁপানির রোগী থাকে, তাহলে তাদের জন্য নেবুলাইজারের ব্যবস্থা করুন। আমরা আপনাকে বলি যে নেবুলাইজার আসলে এমন এক ধরনের যন্ত্র যার মাধ্যমে ফুসফুসে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হয়। নেবুলাইজার মেশিনের সাহায্যে তরল ওষুধকে বাষ্পে রূপান্তরিত করে শ্বাস নেওয়া হয়। বাড়িতে হাঁপানি, দীর্ঘস্থায়ী হৃদরোগ বা ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত রোগী থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন : লাল না সবুজ মরিচ: কোন মরিচ খাবারে ব্যবহার করা বেশি উপকারী ? বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শিখুন
3. এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার
বাড়িতে কোনো হাঁপানির রোগী থাকলে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা উচিত। পিউরিফায়ারের সাহায্যে এটি বাতাস পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এয়ার পিউরিফায়ারের সাহায্যে এটি ঘর থেকে অ্যালার্জেন এবং দূষণকারী উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। পিউরিফায়ার বাতাসকে ফিল্টার করে। আপনার যদি সর্দি, জ্বর বা শ্বাসকষ্ট হয় তবে এই লক্ষণগুলি উপেক্ষা করবেন না এবং অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। স্পাইডার প্লান্ট, মানি প্ল্যান্টের মতো গাছও লাগানো যেতে পারে ঘরের বাতাসকে বিশুদ্ধ করতে।
