Table of Contents
দীপাবলির সময়, অনেক শহরে, বিশেষ করে দিল্লিতে বায়ু দূষণ এবং আতশবাজির ধোঁয়া উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে AQI গুরুতর স্তরে পৌঁছেছে। এর ফলে অনেক লোক শ্বাসকষ্ট, হালকা বা তীব্র শ্বাসকষ্ট, কাশি বা গলা জ্বালা অনুভব করছে। অনেকেই মনে করেন এটি স্বাভাবিক আবহাওয়া বা দূষণের কারণে, তবে এটি হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টের প্রাথমিক লক্ষণও হতে পারে। যাদের আগে থেকেই হাঁপানি আছে তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকে কারণ তাদের শ্বাসযন্ত্র ইতিমধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়েছে। অতএব, এটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে এই লক্ষণগুলি হাঁপানির সাথে সম্পর্কিত নাকি একটি সাধারণ স্বল্পমেয়াদী প্রতিক্রিয়া।
হাঁপানি একটি দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ যা শ্বাসনালীতে প্রদাহ এবং সংকীর্ণতা সৃষ্টি করে। এর ফলে শ্বাস নিতে অসুবিধা, বুকে চাপ, কাশি এবং দ্রুত শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে প্রায়শই হালকা কাশি, রাতে বা ভোরে শ্বাসকষ্ট এবং ধুলো, দূষণ বা ধোঁয়ার সংস্পর্শে এলে হঠাৎ অস্বস্তি দেখা দেয়। দিল্লির জিটিবি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডঃ কুলদীপ কুমার ব্যাখ্যা করেছেন যে দীপাবলির পরে দূষণ এবং আতশবাজির ধোঁয়া বৃদ্ধি বাতাসে বিষাক্ত কণার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এই কণাগুলি ফুসফুসের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। এটি কিছু লোকের মধ্যে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। ঘন ঘন কাশি, বুকে টান এবং শ্বাসকষ্ট হাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এটি সনাক্ত করতে, আপনার লক্ষণগুলির একটি রেকর্ড রাখুন এবং যদি লক্ষণগুলি অব্যাহত থাকে, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন : Bo-toxing কি? এটি কি বলিরেখা দূর করে, আসুন জানি বিস্তারিত
বাড়িতে শ্বাসকষ্টের সমস্যাগুলির যত্ন কীভাবে নেবেন?
ডঃ কুলদীপ কুমার ব্যাখ্যা করেছেন যে হাঁপানি বা দূষণজনিত অস্বস্তির মতো শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাগুলির জন্য সঠিক ঘরোয়া যত্ন অপরিহার্য। প্রথমে, বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে যখন AQI বেশি থাকে এবং ধোঁয়া বেশি থাকে। যদি আপনাকে বাইরে যেতেই হয়, তাহলে N95 মাস্ক পরুন। জানালা এবং দরজা বন্ধ রাখুন এবং ঘরে ধুলো এবং ধোঁয়া প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্য এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন। হালকা এবং পুষ্টিকর খাবার খান এবং হাইড্রেটেড থাকার জন্য প্রচুর জল পান করুন।
শুধুমাত্র নিরাপদ এবং পরিষ্কার স্থানে শারীরিক কার্যকলাপ করুন; বাইরে ব্যায়াম বা কঠোর পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন। শিশু এবং বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নিন, কারণ তারা বেশি সংবেদনশীল। আপনার ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে থাকা ওষুধ বা ইনহেলার নিয়মিত ব্যবহার করুন। যদি লক্ষণগুলি অব্যাহত থাকে, যেমন কাশি, শ্বাসকষ্ট, বা গলা জ্বালা, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। এই সতর্কতা এবং নিয়মিত যত্ন শ্বাসকষ্টের সমস্যাগুলিকে গুরুতর হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।
এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ
- বাড়িতে ধুলো এবং ধোঁয়া কম রাখুন।
- শিশু, বয়স্ক এবং হাঁপানি রোগীদের সংস্পর্শে আসা কমিয়ে দিন।
- ধোঁয়া এবং দূষণ এড়াতে মাস্ক ব্যবহার করুন।
- নিয়মিত ওষুধ খান এবং আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করুন।
- শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।
Disclaimer: এই নিবন্ধটি কেবল তথ্যবহুল এবং চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়।
