Table of Contents
পা ফুলে যাওয়া(Swollen feet) একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেকেই উপেক্ষা করেন, এটিকে প্রতিদিনের ক্লান্তি বা বয়স-সম্পর্কিত পরিবর্তন বলে মনে করেন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, অথবা ব্যস্ত দিনের পর পায়ে ভারী বোধ করা স্বাভাবিক বলে মনে হতে পারে। প্রাথমিকভাবে, ফোলাভাব হালকা, তাই লোকেরা এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেয় না। তবে, যখন ফোলাভাব পুনরাবৃত্তি হয় বা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তখন এটি উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। কখনও কখনও, ফোলাভাব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং জুতা টাইট হয়ে গেলে বা হাঁটা কঠিন হয়ে পড়লেই একজন ব্যক্তি তা বুঝতে পারেন।
এই ধরনের ক্ষেত্রে, এটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে যে পায়ে ফোলাভাব কেবল ক্লান্তির ফলে নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে। আসুন অনুসন্ধান করা যাক পা ফুলে যাওয়ার কারণ কি এবং এটি কতটা বিপজ্জনক হতে পারে।
পা ফুলে যাওয়ার কারণ কি?
আরএমএল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ডাঃ সুভাষ গিরি ব্যাখ্যা করেন যে পা ফুলে যাওয়া(Swollen feet) অনেক কারণে হতে পারে এবং এটি সর্বদা কোনও গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ নয়। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকা, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ এবং শারীরিক ক্লান্তি সাধারণ কারণ। আর্থ্রাইটিসের কারণে পা এবং গোড়ালির চারপাশে ফোলাভাব, ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যাওয়াও হতে পারে, বিশেষ করে সকালে।
কিছু লোক বয়স বাড়ার সাথে সাথে জয়েন্ট ফুলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা লাভ করে। হৃদরোগ, কিডনি বা লিভারের রোগেও পা ফুলে(Swollen feet) যেতে পারে। কিছু ওষুধের প্রভাব, হরমোনের পরিবর্তন এবং স্নায়ুর সমস্যার কারণেও ফোলাভাব হতে পারে। অতএব, ফোলা স্বাভাবিক নাকি বারবার হচ্ছে তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যাতে সময়মতো যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
কোন পরিস্থিতিতে পা ফুলে যাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে?
যদি পায়ে ফোলাভাব(Swollen feet) দীর্ঘ সময় ধরে থাকে বা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়, তবে এটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। এক পায়ে হঠাৎ ফোলাভাব, তীব্র ব্যথা, লালভাব বা উষ্ণতা সহ, একটি সতর্কতামূলক লক্ষণ হতে পারে। তাছাড়া, যদি পায়ের ফোলাভাব শ্বাসকষ্ট, বুকে ভারী ভাব, অথবা অতিরিক্ত ক্লান্তির সাথে থাকে, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন : অনিয়মিত পিরিয়ড কি রোগ? কেন হয়? বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জেনে নিন।
যদি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরও ফোলাভাব কমে না বা রাতে আরও খারাপ হয়, তাহলে এটি একটি গুরুতর সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, সময়মত পরীক্ষা এবং পরামর্শ অপরিহার্য।
কীভাবে এটি প্রতিরোধ করবেন
- দীর্ঘক্ষণ ধরে এক জায়গায় বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকা এড়িয়ে চলুন।
- বিরতি নিন এবং পা উঁচু করে বিশ্রাম নিন।
- লবণ গ্রহণ সীমিত করুন।
- প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম বা হাঁটা উপভোগ করুন।
- আরামদায়ক এবং ভালোভাবে ফিট করা জুতা পরুন।
- যদি ফোলাভাব অব্যাহত থাকে তবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
