সাইনাসের সমস্যা আজকাল একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠছে। এটি নাক, কপাল এবং চোখের চারপাশে ব্যথা এবং চাপ সৃষ্টি করে। লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে ধুলো বা অন্যান্য অ্যালার্জি এড়ানো এবং সঠিক খাদ্য গ্রহণ করা।
নয়ডার ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ইএনটি কনসালটেন্ট ডঃ সিদ্ধার্থ এস. শ্রীবাস্তব ব্যাখ্যা করেছেন যে কিছু খাবার সাইনাসের লক্ষণগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে পনির, দই, ঘি, মাখন, বাটারমিল্ক, লস্যি। অতিরিক্ত ভাবে, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট, সাদা ভাত, সোডা বা পাস্তা খাওয়াও এই সমস্যায় অবদান রাখতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা ঠাণ্ডা জল পান করা এবং ঠাণ্ডা খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। যদি মানুষ সাইনাসের সমস্যা অনুভব করে, তাহলে বিশেষ করে শীতকালে এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলাই ভালো। পরিবর্তনশীল ঋতুতে নিজের যত্ন নেওয়া উচিত। ব্যথা বা অস্বস্তি আরও খারাপ হলে, ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করতে, আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন C সমৃদ্ধ খাবার, যেমন পেঁপে এবং স্ট্রবেরি অন্তর্ভুক্ত করুন। Omega-3 ফ্যাটি অ্যাসিড, যেমন তিসির বীজ, আখরোট এবং মাছও আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এগুলি প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
আরও পড়ুন : আখরোট না আমন্ড বাদাম… শীতকালে শরীর গরম রাখার জন্য কোনটি বেশি উপকারী?
ব্রোকলি, বাঁধাকপি এবং পালং শাকের মতো সবুজ শাকসবজি খাওয়াও উপকারী, কারণ এতে ভিটামিন C এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা সাইনাসের লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। গ্রিন টিতেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন বা অন্য কোনও কারণে যদি আপনার সাইনাসের সমস্যা আরও খারাপ হয়, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন। সমস্যাটি কমাতে তারা উপযুক্ত পরামর্শ এবং ওষুধ সরবরাহ করবেন। তবে, খাদ্যতালিকাগত নির্দেশিকা মেনে চলাও গুরুত্বপূর্ণ। আবহাওয়া অনুসারে আপনার খাদ্যতালিকাও সামঞ্জস্য করা উচিত।
Disclaimer: এই নিবন্ধটি কেবল তথ্যবহুল এবং চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়।
