ওয়েব ডেস্ক: ত্রিপুরা নিয়ে এবার দিল্লিতে সরব হচ্ছে তৃণমূল। সেই সূত্রেই সোমবার সংসদে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে নামল এ রাজ্যের শাসক দল। সেখানেই স্লোগান ওঠে, ‘দেশের নেত্রী কে, মমতা ব্যানার্জী আবার কে’, আবার উল্টো স্লোগান, ‘দেশের গুণ্ডা কে, নরেন্দ্র মোদি আবার কে?’ তবে, শুধু গান্ধিমূর্তির পাদদেশেই নয়, সংসদের ভিতরেও এ নিয়ে তৃণমূল সরব হবেন বলেই জানা গিয়েছে। এই পরিকল্পনার কথা রবিবারই জানিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
প্রসঙ্গত, রবিবার ত্রিপুরায় গিয়ে ‘সহকর্মী’দের মুক্তির দাবিতে সকাল থেকে খোয়াই থানাতেই পড়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষে ত্রিপুরা আদালতে জামিন পেয়েছেন ১৪ জন তৃণমূল নেতা। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাঁদের। দিনের শেষে পরিশ্রান্ত ও আহত কর্মীদের নিয়ে কলকাতায় ফিরেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তবুও হুঁশিয়ারি দিতে পিছপা হননি।
দেশ জুড়ে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করবে CPIM, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে
কলকাতা ফিরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দেবাংশু, জয়াদের। সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তকে ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে। রাতে বিমানবন্দর থেকে তাঁদের এসএসকেএমে নিয়ে আসেন তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী।
আধারের সঙ্গে রেশন কার্ড লিঙ্ক না করলে মিলবে না রেশন! কি বলছে সরকারি নিয়ম
এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘ত্রিপুরায় ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটছে। গণতন্ত্র বলে কিছুই নেই সে রাজ্যে। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। আমাদের যুব নেতাদের উপর যেভাবে হামলা হয়েছে, তারপরও তাঁদের যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা গণতন্ত্রের অপমান।’ অর্থাৎ, একটা বিষয় স্পষ্ট, পেগাসাস ইস্যুতে যেভাবে বাকি বিরোধীদের পিছনে ফেলে প্রচারের আলো কেড়ে নিয়েছিল তৃণমূল, ত্রিপুরা ইস্যু নিয়েও এবার গোটা দেশের নজর টানতে প্রস্তুত হচ্ছে তাঁরা। আর সংসদে তাঁদের নেতৃত্ব যে দেবেন অভিষেকই, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।
