ওয়েব ডেস্ক: নির্বাচন পরবর্তী হিংসা মামলায় মঙ্গলবার কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের হয়ে সওয়ালে কপিল সিব্বাল বললেন, হিংসার ঘটনা যে সময়ের বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেই সময়ের আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের নয়।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ঘটনার শুনানির সময়ে কপিল সিব্বাল বলেন হিংসার ঘটনা কেউ অস্বীকার করেনি কিন্তু যে সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই সময়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। মমতা ব্যানার্জী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন মে মাসের ৫ তারিখে। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায় যে পদ্ধতিতে কলকাতা হাই কোর্ট CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে তা ঠিক নয়। NHRC-র বিষয়ে কোর্ট জানায় এই কমিটিতে থাকা ৩ জন সদস্য নিরপেক্ষ নন। তাদের টুইটার প্রোফাইল এবং অন্যান্য জায়গা থেকে প্রাপ্ত তথ্য তাদের নিরপেক্ষতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলছে।
ভোট-পরবর্তী হিংসায় CBI তদন্ত স্থগিতের রাজ্যের আবেদন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্টের
আদালতে কপিল জানিয়েছিলেন, প্রচুর ভুয়ো রিপোর্ট দায়ের হয়েছে কমিশনে। এমনকি, এমন ব্যক্তির খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে, বাস্তবে যিনি জীবিত। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টকে সিব্বাল জানিয়েছেন, হাই কোর্টে যে রিপোর্ট NHRC জমা দিয়েছে তার কোন কপি দেওয়া হয়নি রাজ্য সরকারকে। এর ফলে রাজ্য সরকার তদন্ত করতে অসুবিধায় পড়ছে বলে জানান তিনি। ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগের উদাহরণ দিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন যার ধর্ষণ হয়েছে তার নাম ঠিকানা না দিলে রাজ্য সরকার কিভাবে তার তদন্ত করবে। পুলিস আধিকারিকদেরও সমন পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি আবেদন করেন পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত যাতে নতুন কোন কেস না করা হয়।
নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পরা মোদীর ছবিটি মিথ্যে প্রচার, বিবৃতি দিয়ে জানাল নিউইয়র্ক টাইম্স
সুপ্রিম কোর্ট ECI-কে নোটিস দিয়ে জানিয়েছে মে মাসের ২ তারিখ থেকে ৫ তারিখ অবধি যা ঘটেছে সেগুলি সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে হবে। কেন্দ্রকেও নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৭ অক্টোবর। সুপ্রিম কোর্ট নোটিস পাঠানোয় বিষয়টি অস্বস্তিকর হয়ে উঠল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে কড়া মন্তব্য ও তথ্য সত্যনিষ্ঠ এবং যুক্তিসংগত সেটি প্রমাণ করার, দায় এসে পড়ল কেন্দ্রের কোর্টে।
