সেলারি (আজওয়াইন) ও গুড়ের জল সর্দি, কাশি ও কফ থেকে মুক্তি দেয়। এই জল গরম করে পান করলে বুকে জমে থাকা শ্লেষ্মাও সহজে দূর হবে। পিরিয়ডের ব্যথায় সেলারি এবং গুড় খাওয়াও উপকারী বলে মনে করা হয়। আয়ুর্বেদে গুড় এবং সেলারি ব্যবহার করা হয়। সেলারি এবং গুড় উভয়েরই গরম প্রকৃতি রয়েছে, যা শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরের ব্যথা থেকে দারুণ উপশম দেয়। ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে দিনে অন্তত একবার সেলারি এবং গুড় খাওয়া উচিত।
সেলারি ও গুড়ের জল পানের উপকারিতা
ঠাণ্ডা ও কফ থেকে মুক্তি– আজওয়াইন এবং গুড় গরম, তাই সর্দি ও কাশি নিরাময়ে কার্যকর। আজওয়াইন ও গুড়ের জল পান করলে বুকে আটকে থাকা কফ দূর হয়। গুড় ও আজওয়াইন চা পান করলে ঠান্ডায় অনেক উপশম হয়। দিনে অন্তত দুবার এই চা বা জল খেতে হবে।
আরও পড়ুন : প্রতিদিন এক টুকরো নারকেল খেলে অনেক উপকার হবে, ওজন কমাতে সাহায্য করবে
পেটের ব্যথায় উপশম– আয়ুর্বেদে, সেলারি এবং গুড় পেট ফোলা এবং ব্যথা কমাতে সেরা। যেসব মহিলাদের পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং ব্যথা হয় তাদের গুড় এবং সেলারি খাওয়া উচিত। এতে পেট ব্যথার সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। পিরিয়ডের সময় ক্র্যাম্প বিশেষ করে কমানো যায়। আপনি গুড় এবং সেলারি চা বানিয়ে পান করতে পারেন।
পিঠের ব্যাথা চলে যাবে- কখনো সর্দি বা অন্য কোনো কারণে প্রচণ্ড পিঠে ব্যথা হয়। এই ধরনের সমস্যা হলে, আপনি গুড় এবং সেলারি খেতে পারেন। এজন্য ১ গ্লাস জলে ১ চা চামচ সেলারি ও ২ টি বড় গুড় দলা গরম করুন। সিদ্ধ করে জল করুন। আপনি চাইলে সেলারি এবং জল সিদ্ধ করে পান করুন এবং তার উপরে গুড় খান। এটি কোমর ব্যথার জন্য অনেক উপশম দেবে।
কাশি থেকে মুক্তি পাবেন- আপনার যদি দীর্ঘস্থায়ী কাশি থাকে তবে এর জন্যও গুড় এবং সেলারি উপকারী প্রমাণিত হবে। কয়েকদিন একটানা গুড় ও সেলারি চা পান করুন। আপনার দীর্ঘস্থায়ী কাশি অনেকাংশে সেরে যাবে।
আরও পড়ুন : সকালে খালি পেটে গুড় ও ছোলা খেলে স্বাস্থ্যের জন্য পাওয়া যায় অসাধারণ উপকার
পাইলসের উপকারিতা– গুড় এবং সেলারি উভয়ই পাইলসের জন্য উপকারী। গুড় ও সেলারি গরম এবং মলত্যাগের ঝামেলা কমায়। গাদা রোগীরা দিনে ২ থেকে ৩ বার গুড় ও সেলারি চা পান করতে পারেন।