ওয়েব ডেস্ক: Migraine Pain হল একটি বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা, জেটি মাথার যেকোনো একপাশ থেকে শুরু হয়ে এবং ধীরে ধীরে অন্য পাসে চরিয়ে যাই। এতে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়। Pain-র সঙ্গে বমি বমি ভাবে রোগীর দৃষ্টিবিভ্রম ঘটতে পারে। এই ব্যথার উৎস কি? Migraine জিনঘটিত রোগ। পরিবারের কারও থাকলে, হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মস্তিষ্কের ট্রাইজেমিনাল নার্ভ উত্তেজিত হলে এই ব্যথা হয়। সেরোটোনিন নামক কেমিক্যালের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে এই ব্যথা হয় বলে মত চিকিৎসকদের।
এই সমস্যা ছেলেদের থেকে মেয়েদের বেশি হই। তার কারণ হরমোনগত বিভেদ। মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের কারণেই Migraine-এর প্রকোপ বেশি। কোন ধরনের খাবার খেলে এই রোগের ক্ষেত্রে ভালো? আসুন দেখে নেওয়া যাক
বাদাম : বাদামে থাকে ম্যাগনেসিয়াম। সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ধরনের উপাদান। এই সব বস্তুই সাহায্য করে মাথা ব্যথা কমাতে। ফলে কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে এই স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নেওয়াই যায়। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট খাওয়ার অভ্যাস করা যেতেই পারে।
প্রেগনেন্সির পর শরীরের স্ট্রেচ মার্ক? দূর করতে যেনে নিন কিছু ঘরোয়া টোটকা
ওটস্ : রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এই খাদ্য। ডায়াবেটিস থাকলে অনেক ধরনের শারীরিক অসুবিধা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথাও খানিকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।
জল : বহু শারীরিক সমস্যার সমাধানই করতে পারে জল। মাইগ্রেনের ক্ষেত্রেও সে কথা সত্যি। নিজের শরীরে জলের মাত্রা যথেষ্ট রাখা প্রয়োজন। দিনে ৮-১০ গ্লাস জল খেলে এই অসুখ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ভিটামিন বি-২ : ভিটামিন বি-২ এর পরিমাণ শরীরে বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা কম হয়। মাছ, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাদ্য, চিজ, বাদামে ভিটামিন বি-২ এর পরিমাণ বেশি মাত্রায় থাকে।
ট্রেন-বাসে চরলেই বমি হয়? জেনে নিন কিছু ঘরোয়া টোটকা
হার্বাল চা : মাথার ব্যথার জন্য খুব উপকারী। আদা কুঁচি ও লেবু দিয়ে চা খেলে ব্যথার পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।
গোলমরিচ : মাইগ্রেন থেকে রক্ষা পেতে গোলমরিচের বিকল্প নেই। এক কাপ গরম জলে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। সঙ্গে মধু আর লেবু মিশিয়ে নিতে পারেন।