Table of Contents
ওয়েব ডেস্ক: এবারের ২১ জুলাই শহিদ দিবসেও ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মতলায় গত বারের মতোই শহিদ দিবস পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা জয়ের পর ব্রিগেডে ২১ জুলাই বিজয় দিবস পালন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু করোনা আবহে কর্মসূচি বদল করেছে তৃণমূল। তবে জানা গিয়েছে, এবারও বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব অন্য দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন।
এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা। এবারও সর্বভারতীয় স্তরের বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, যশবন্ত সিনহার সময়ই দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। তৃণমূল আয়োজিত ব্রিগেডের সমাবেশে তিনি হাজিরও হয়েছিলেন। তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসায় তৃণমূল নেত্রীকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন বিহারী-বাবু।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর লক্ষ্য অন্য রাজ্যে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেওয়া। পাশাপাশি শুধু লড়াই নয়, জয়ই তাঁর মূল টার্গেট। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী নেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর যোগাযোগ বহু পুরানো। এদিকে শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের সদ্ভাবও যথেষ্ট। সূত্রের খবর, ২১ জুলাই কট্টর বিজেপি বিরোধী শত্রুঘ্ন সিনহা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। এছাড়া দক্ষিণ ভারতের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বসহ অন্য রাজ্যের নানা স্তরের নেতৃত্বের সঙ্গেও তৃণমূলের আলোচনা চলছে বলে সূত্রের খবর।
‘এখন বাস ভাড়া বাড়ানো সম্ভব নয়’, বললেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরাহাদ হাকিম
কিভাবে প্রাক্তনী দের নিয়ায়ে এগোচ্ছে..
ত্রিপুরায় মুকুল-ঘনিষ্ঠ সুদীপ রায়বর্মন বিজেপির উপর অসন্তুষ্ট
ত্রিপুরায় বিজেপিতে অসন্তোষ তীব্র। মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ সুদীর রায় বর্মনের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা সুদীপ রায় বর্মণকে নিয়ে তৃণমূল ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে পারে। তেমনই মণিপুর ও অসমের ক্ষেত্রেও তৃণমূল সংগঠন বিস্তারে জোর দিয়েছে।
বিহারের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে সংগঠন বিস্তারে মন ২০২৪-এর আগে
বিজেপির সমস্ত প্রাক্তনদের ভিন রাজ্যের সংগঠনে কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল। শত্রুঘ্ন সিনহা বর্তমানে কট্টর বিজেপি বিরোধী। ফলে তাঁকে ভিন রাজ্যের সংগঠনে কাজে লাগিয়ে জোয়ার আনতে উদ্যোগী তৃণমূল কংগ্রেস। বিহারের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে সংগঠন বিস্তারে মন দিয়েছে তৃণমূল। যশবন্ত-শত্রুঘ্ন সিনহাদের সেই কাজে লাগাতে চান অভিষেক। সামনেই ভোট উত্তরপ্রদেশে। সেখানে যদি একটু হলেও থাবা বসানো যায়, তবে ২৪-এ মোদীকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া যাবে।
দেশকে তিনটি জোনে ভাগ করে কাজ করতে চাইছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
২৪-এর আগে তৃণমূলের কাছে প্রেরণা হতে পারেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি
এক্ষেত্রে তৃণমূলের কাছে প্রেরণা হতে পারেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি যদি গুজরাট, বিহারে থাবা বসাতে পারেন, বাংলায় মিটিং করতে পারেন, তাহলে তৃণমূল কেন বিহার-উত্তরপ্রদেশে সংগঠন বাড়িয়ে ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি করতে পারবে না। উত্তরপ্রদেশে কয়েকটি আসনেও যদি তৃণমূল প্রভাব বিস্তার করতে পারে, তবে তাঁরা বিরোধী মুখ হিসেবে উঠে আসতে পারে ২০২৪-এ।
শুধু সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নয়, এরাজ্যেও বিজেপির একাধিক বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে চায় বলে দাবি করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকও সেরেছেন তৃণমূল নেত্রী। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে উত্তরবঙ্গের একাধিক পদ্ম শিবিরের বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের। গেরুয়া শিবিরও জোর গলায় বলতে পারছে না তাঁদের কেনও বিধায়ক দল ছাড়বে না। বিধানসভার লনে হাসি-ঠাট্টাও চলছে, “কবে আর দলবদল করেছিলাম। দলেই তো আছি।” মজার ছলে এসব চললেও বাস্তব রূপ পেতে রাজনীতিতে বেশি সময় লাগে না।