ওয়েব ডেস্ক: ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে শোচনীয় হারের পর চলছে হারের ময়না তদন্ত। উঠে আসছে হারের নানান কারণ। কেও বলছে কংগ্রেস ও ISF এর সাথে জোট করা ভুল, কেও বলছে বিজেমূল স্লোগান ভুল, এইবার এই বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করলেন CPIM এর প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। তার মতে বিজেমুল তত্ত্বে কোন ভুল নাই, ভোটে হারের জন্য মুল দায়ী দুর্বল সংগঠন।
বিগত দশ বছর CPM রাজ্যে ক্ষমতাই নাই, ধীরে ধীরে তাদের যেমন তাদের ভোটে ব্যাংক কমেছে, সাথে দুর্বল হয়েছে দলের সংগঠন।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ও বিজেপিকে একই সারিতে রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি দুদলের মধ্যে সংযোগের অভিযোগ করে বিজেমূল স্লোগান ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু তার সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির মিল ছিল না বলে এইদিন মন্তব্য করেছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেছিলেন, বিজেপির সঙ্গে অন্য কোনও দলকে এক করে দেখা উচিত নয়, কিন্তু ভোটের আগে তাই করা হয়েছিল। আসল শত্রু কে, তা নিয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছিল মানুষের মধ্যে।
সংযুক্ত মোর্চা ভাঙবে না বামেরা, পরিষ্কার জানালেন সূর্যকান্ত মিশ্র
রাজ্য সম্পাদকের এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে, এদিন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন, দলের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তার বিরোধিতা তিনি করতে পারেন না। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত মত হল, বিজেমূল স্লোগানে কোনও ভুল ছিল না। কেননা এই স্লোগানে তিনি কোনও ভুল পাননি। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, রাজ্যে তৃণমূল সরকার তৈরি হওয়ার আগে পর্যন্ত বামেদের বিরুদ্ধে যা লড়াই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার সবকটিতেই বিজেপির সাহায্য ছিল।
‘ফৌজদারি মামলার অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী!’ এবার সূর্যের খোঁচা নিশীথ-বার্লাকে
সুশান্ত বাবু আরও বলেন, বিজেমূল তত্ত্বের সব থেকে বড় উদাহরণ হল, বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির(PAC) চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের মনোনয়ন। তিনি বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হলেও, তৃণমূলের সদস্য। সুশান্ত ঘোষ এদিন দাবি করেন, দলের মধ্যে চর্চা হলেও, এব্যাপারে এখনও এব্যাপারে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে দলের নিচু তলা থেকে উঁচু তলা পর্যন্ত আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০২১ এর ভোটে বিজপি-তৃনমূল কে একসাথে ‘বিজেমূল’ বলে প্রচার ভুল ছিল, শিকার করলেন Surjya Kanta Mishra
সুশান্ত ঘোষ বলেছেন, তিনি মনে করেন, মানুষের কাছে বিকল্পের বার্তা নিয়ে সঠিক ভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়নি। সেটাই বড় সাংগঠনিক দুর্বলতা। সেই কারণেই মানুষ বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূলকে বেছে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল কিংবা বিজেপি কেউই বিকল্প হতে পারেনা।