ওয়েব ডেস্ক: আয়ুর্বেদের এই উপাদান প্রসঙ্গে অনেকেই জানেন। হরিতকী, আমলকী এবং বিভীতকী – এই তিনটিই সংমিশ্রণ হল ত্রিফলা। বেশিরভাগ মানুষ এটাই জানেন যে কেবলমাত্র কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্যায় এটি সেবন করন। তবে এর আরও অনেক গুণ আছে।
চুলের ক্ষেত্রে :- ৩০০ থেকে ৪০০ মিলি জল ফুটিয়ে তাতে এক টেবিল চামচ ত্রিফলা পাউডার মিশিয়ে নিতে হবে। ঠাণ্ডা করে হালকা মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। এবং শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নেওয়ার পর এটিকে কন্ডিশনার রূপে ব্যাবহার করতে হবে। ত্রিফলা দিয়ে ধোয়ার পর আর জল দেবেন না চুলে।
উপকার :- চুলের মজবুতি এবং খুশকি তথা ডগা ফেটে যাওয়ার মত সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে।
দেহের ক্ষেত্রে :- এক টেবিল চামচ ত্রিফলা, এক চামচ লাল চন্দন পাউডার, অল্প জল, তিলের তেল, মধু মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। সারা দেহে মেখে ৫ মিনিট থাকুন, হালকা রাব করে তুলে ফেলুন।
উপকার :- এক্সফলিয়েট হিসেবে দারুণ কাজ করে। মৃত কোষকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং স্কিনের মাত্রা উন্নত করে।
সাইনাসের যন্ত্রণায় কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে মুখে রাখুন মিছরি
ব্রণর ক্ষেত্রে :- ১/২ চামচ ত্রিফলা পাউডারের সঙ্গে ১/২ চামচ মুলেঠি পাউডার মিশিয়ে নিতে হবে। এক-চামচ অলভ্যেরা জেল মিশিয়ে নেওয়ার পর হালকা জল দিয়ে একটু পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। গোটা মুখে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। একেবারে শোকানোর আগে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
উপকার :- ব্রণর সঙ্গে সঙ্গে মেছেতার দাগ আস্তে আস্তে কমে যায়। ব্ল্যাকহেডস কমে যায়।