ওয়েব ডেস্ক: ভুয়ো আইএএস, আইপিএস এর পর এবার গ্রেফতার ভুয়ো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। সোমবার বিকেলে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। সেই ব্যক্তির সঙ্গে তার গাড়ির চালক ও সঙ্গে থাকা দুই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত হয় হিউম্যান রাইটস লোগো লাগানো গাড়িও।
মঙ্গলবার তাদের বারাসাত আদালতে তোলা হয়। নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো তারক মণ্ডল(ভুয়ো চেয়ারম্যান) নিউটাউনের বাসিন্দা, সত্যেন্দ্রনাথ যাদব(গাড়ির চালক) বিহারের বাসিন্দা–সহ আরও দু’জন। এই তারক মণ্ডল নামে ব্যক্তি ভুয়ো চেয়ারম্যান সেজে প্রতারণা করত বলেই খবর। তারক নিউটাউনের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
চীনের ল্যাব থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে, বলছে মার্কিন রিপাবলিকানদের রিপোর্ট
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলে নিউটাউন থানার পুলিশ নারকেল বাগান এলাকায় একটি ইনোভা গাড়িকে সন্দেহের বশেই দাঁড় করান কর্তব্যরত অফিসাররা। তাতেই কেল্লাফতে। হাতেনাতে পাকড়াও ৪ ভুয়ো আধিকারিক। পুলিশ জানায়, গাড়ি নিউটাউনের নারকেল বাগানের সামনে থেকে যাচ্ছিল। ভেতরে চারজন বসেছিলেন। নিউটাউন থানার অফিসাররা সেই সময় সেখানে ডিউটি করছিলেন। গাড়িটিকে দাঁড় করান তাঁরা। গাড়ির সামনের বোর্ডে লাগানো ছিল চেয়ারম্যান, ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল। কাচেও লাগানো ছিল একই স্টিকার। নীল-বাতি লাগানোর জায়গা ছিল। কিন্তু খোলা ছিল। ড্যাশবোর্ডের ওপর একাধিক সংগঠনের ব্যাজ রাখা ছিল। তারক মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি নিজের পরিচয় দেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে। কিন্তু, আইকার্ড বা নথি দেখাতে পারেননি। সঙ্গী মদন ও রাজকুমার জানান, তাঁরা সংগঠনের সদস্য। পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় গাড়ির চার আরোহীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। পরে চারজনকেই মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধি পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
দেশে চিহ্নিত ২৪ ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয় যার ৬২% রয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে
জানা গিয়েছে, এরা মূলত বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে সমস্যায় পড়েছে এমন মানুষদের খুঁজে বের করে তাদের সমস্যা মিটিয়ে দেবে বলে আশ্বস্ত করে টাকা তুলত। সে পুলিশি সমস্যা হোক বা প্রোমোটিং সংক্রান্ত সমস্যা। সব কিছু মিটিয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা আদায় করত। মঙ্গলবার তাদের বারাসাত আদালতে তোলা হয়।