ওয়েব ডেস্ক: বিধানসভা ভোটে বিপুল সমর্থনে লাভ করে তৃতীয় বারের জন্য বাংলাই ক্ষমতাই এসেছে TMC। আর এরপরেই তৃণমূলের নজর জাতীয় রাজনীতি। আর সে লক্ষ্যেই এবার পা ফেলতে চলেছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এর গুরু দায়িত্বে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখন লক্ষ্য একটাই ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে। সর্বভারতীয় সম্পাদক হওয়ার পরেই অভিষেকের মন্তব্য ছিল, জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখবে তৃণমূল। ভিন রাজ্যে মাত্র কয়েকটি বিধায়ক নয়। সরকার গড়বে বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী ভাইপো। আর এরপরেই ত্রিপুরা ছুটে যাচ্ছেন। সম্ভবত অগাস্টের শুরুতেই আগরতলাতে যাওয়ার কথা রয়েছে। মুকুল রায়ের কষে দেওয়া ছকেই কি এবার বিপ্লবের রাজ্যে ঘাসফুল ফুটবে? শুরু জল্পনা!
২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভার ভোট। তার আগে ওই রাজ্যে শক্ত রাজনৈতিক জমি তৈরি করতে এখন থেকেই নামতে চায় TMC। সেই লক্ষ্যেই বেছে নেওয়া হয়েছে নেত্রীর সর্ববৃহৎ সমাবেশকে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, যে রাজ্যে তৃণমূল তাঁদের সংগঠন বাড়ানোর কাজ করবে, সেখানেই সরকার গড়ার জন্য ঝাঁপাবেন তাঁরা। তাই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পরিকল্পনা মতো বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার ঘুঁটি সাজানো শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে সভাপতি আশিসের ওপর নির্ভর করতে শুরু করেছে মমতার দল। প্রসঙ্গত, আশিসের পিতা শচীনলাল সিংহ একসময় ত্রিপুরায় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
এবার নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে নিশীথকে কটাক্ষ বিমানের
এই মুহূর্তে ত্রিপুরাতে কার্যত টলমল বিজেপি অবস্থা। বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের সঙ্গে এই মুহূর্তে সংঘাত চরমে। একাধিক বিধায়ক নিয়ে দল ছাড়তে পারেন বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছে। মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে এই জল্পনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। মুকুল ঘনিষ্ঠ এই বিজেপি বিধায়ক তাঁর অনুগামীদের নিয়ে দল ছাড়লে চাপ বাড়তে পারে সরকারের। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন আগেই ত্রিপুরার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি নেতারা। এই অবস্থায় বিজেপির নড়বড়ে অবস্থানেই কি কোপ মারতে চলেছেন অভিষেক? উঠছে প্রশ্ন।