ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জন্য আর্থিক সাহায্য বিশ্বব্যাংকের। নবান্ন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে মহিলা, তফসিলি জাতি-উপজাতি, বয়স্ক-সহ সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সেই সংক্রান্ত কর্মসূচির রূপায়ণে সহায়তা হিসাবে বিশ্বব্যাংক প্রায় ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিতে চলেছে। টাকার অঙ্কে প্রায় ৯১৯ কোটি।
‘উইমেন্স এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড ইনক্লুসিভ সোশ্যাল প্রোটেকশন প্রোগ্রাম’-এর আওতায় বিশ্বব্যাংকের এই অর্থ সাহায্য আসবে। জনমুখী প্রকল্পে উপভোক্তদের হাতে সহায়তা ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে কি না, তা ‘ইন্ডিপেনডেন্ট ভ্যালুয়েশন এজেন্সি’-কে দিয়ে যাচাই করেও দেখা হবে। প্রকল্পের রূপায়ণে স্বচ্ছতার এই শর্তে অগ্রাধিকার দিচ্ছে রাজ্যও।
শনিবারই অর্থ দফতরের তরফে এই খবর জানান হয়। বলা হয়েছে, ‘রাজ্যের নানা জনমুখী প্রকল্পের সফল রূপায়ণে সাড়া দিয়ে সমাজের দুর্বলতর অংশের স্বশক্তিকরণের কাজে রাজ্যকে ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিতে চায় বিশ্বব্যাংক। এই অঙ্ক বাড়তেও পারে। এতে বিধবা বা তফসিলি জাতি-উপ-জাতিভুক্ত মানুষদের সামাজিক সহায়তায় অগ্রাধিকার দেওয়া যাবে।
মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর ‘ওয়াপসি’ শিখা মিত্রের
আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যাতে উপভোক্তারা তাঁদের প্রাপ্য বুঝে পান, সেই প্রশাসনকি সুবিন্যাসেও নজর দেওয়া হবে বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পের মাধ্যমে।’ এই অর্থের একাংশ প্রকল্পের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মূল্যায়নের কাজে যোগ্য সংস্থা নিয়োগে ব্যয় করা হবে।
সস্তাই বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বিক্রির টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণা, বারুইপুর থেকে ধৃত ১
ইতিমধ্যেই যে নবান্নের তরফে ভবিষ্যতের দিশা নির্ধারণের কাজ শুরু হয়েছে, তারই অঙ্গ হিসাবে মহিলাদের স্বশক্তিকরণে চলছে কন্যাশ্রী-রূপশ্রী-লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বয়স্কদের পেনশনের জন্য ‘জয় বাংলা’ প্রকল্প। সরকারি এক কর্তার কথায়, ‘রাজ্য সরকারের এই সব জনমুখী প্রকল্প শুধু জাতীয় স্তরে নয়, স্বীকৃতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। রাজ্যের সাফল্যের ধারা কে অব্যাহাত এগিয়ে এসেছে এ বার বিশ্বব্যাঙ্ক।’