Table of Contents
আজ ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে মানুষের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়েছে। তরুণ-তরুণীরা এবং শিশুরাও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে দেরি করে ঘুমানো এবং কম জল পান করা এর কারণ হতে পারে। এ ছাড়া কম ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। হজম ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার কারণে মলত্যাগে সমস্যা হয়। পেট পরিষ্কার হয় না, বদহজমে গ্যাসের সমস্যা হয়।
ফাইবার খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু ফল খেলে হজমশক্তি উন্নত হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দ্রুত দূর হবে। আমাদের চারপাশে এমন অনেক খাবার রয়েছে যা এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারে। বেশি করে জল পান করার অভ্যাসের পাশাপাশি, আপনার খাদ্যতালিকায় পেঁপে, ডুমুর এবং কিউইয়ের মতো ফল অন্তর্ভুক্ত করুন। এই ফলের উপকারিতা জেনে নিন।
পেঁপে এবং নাশপাতির উপকারিতা
নাশপাতি এবং পেঁপে কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য খুবই উপকারী। পেঁপে কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য সবচেয়ে কার্যকর ফল হিসেবে বিবেচিত হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা অন্ত্রকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। এতে পাপাইন নামক একটি এনজাইমও রয়েছে, যা দ্রুত খাবার হজম করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে বা বিকেলে পেঁপে খেলে পেট হালকা থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি রান্না করে এবং কাঁচা উভয়ভাবেই খাওয়া যেতে পারে। যদিও নাশপাতিতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ফাইবার থাকে, যা সহজেই মলত্যাগ করতে সাহায্য করে। তাই, আপনি নাশপাতিও খেতে পারেন।
আরও পড়ুন : পিত্তথলির পাথর হতে পারে মৃত্যুর কারণ; চিকিৎসকরা কি বলছেন জানুন
ডুমুর এবং কিউই উপকারী
কিউইতে ফাইবার এবং একটি বিশেষ এনজাইম থাকে যা হজমের উন্নতি করে। প্রতিদিন এক বা দুটি কিউই খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাজা এবং শুকনো ডুমুর উভয়ই কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। এগুলি ফাইবার সমৃদ্ধ এবং মলকে নরম করে। ২-৪টি শুকনো ডুমুর রাতভর জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে খান। এটি আপনার অন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।
Disclaimer: এই তথ্য এবং এই বিষয়ে আরও তথ্য পেতে আপনি বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
