ওয়েব ডেস্ক: লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদে থাকছেন অধীর চৌধুরীই। কোনোরকম রদবদল নয়। গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা ছড়িয়েছিল, অধীরকে লোকসভার দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। বুধবার কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির বৈঠকের পর সেই জল্পনায় জল ঢেলেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড।
আজ কংগ্রেস হাইকমান্ডের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হই। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাহুল-সোনিয়া, মনমোহন সিং সহ অন্য শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানেই অধীর চৌধুরীর নামে সিলমোহর পড়েছে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, লোকসভার দলনেতা পদ থেকে অধীরকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। এমনটাই রটে যায় সম্প্রতি। সূত্র মারফৎ জানা যায়, লোকসভার দলনেতা হবেন না রাহুল গান্ধী। এই পদের জন্য গৌরব গগৈ, রভনীত সিং বিট্টু, উত্তম কুমার রেড্ডির নাম উঠে আসে। কংগ্রেস সূত্রে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে আর এক সপ্তাহও সময় নেই। এই পরিস্থিতিতে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়।
Nandigram মামলায় নয়া মোড়, ব্যবহৃত EVM, ব্যালট পেপার সংরক্ষণের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
এই প্রসঙ্গে কিছুদিন আগে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে অধীর বলেছিলেন, ‘এই ধরনের কোনও তথ্য আমার কাছে নেই। আমি দলের একজন সৈনিক। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনেই চলব।’ পাশাপাশি তাঁর আরও সংযোজন, ‘দলের শীর্ষনেতৃত্ব আমায় যা দায়িত্ব দিয়ে এসেছেন, তা পালন করাই আমার ধর্ম।’
এই ভার্চুয়াল বৈঠকে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর উপস্থিতিতে লোকসভা ও রাজ্যসভার কংগ্রেসের ভূমিকা কি হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে সমস্ত বিল আনা হবে তাতে কংগ্রেসের কি ভূমিকা থাকবে তা ঠিক করে দিয়েছেন সনিয়া। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর অধীরকে লোকসভার দলনেতার দায়িত্ব দিয়েছিল দল।
রাজ্যে জারি রইল বিধিনিষেধ! বন্ধ থাকছে লোকাল ট্রেন! তবে শর্তসাপেক্ষে চালু হচ্ছে মেট্রো
জানা গিয়েছে, লোকসভায় ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচন করাতে পারে সরকার। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হতে পারেন কে সুরেশ। সুরেশ বর্তমানে লোকসভায় দলের মুখ্য সচেতক পদে রয়েছেন। সেক্ষেত্রে মুখ্য সচেতক পদে অন্য কারও নাম আসতে পারে। এ ছাড়াও লোকসভায় কংগ্রেসের দু’ জন সচেতক রয়েছেন। তারা হলেন, মনিক কাম টেগোর এবং নবনীত সিং বিট্টু। মনিক কাম টেগরকে দলের তরফে তেলেঙ্গানা রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টেগর দলকে জানিয়েছেন, তেলেঙ্গানা রাজ্যের দায়িত্ব সামলে লোকসভায় সময় দেওয়া সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে লোকসভায় দলের সচেতক পদেও আর একজন নতুন মুখকে আনা হতে পারে।