ওয়েব ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হবে অগস্টের মাঝামাঝি। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অক্সিজেনের অভাবে কতজনের মৃত্যু হয়েছে? তা জানতে চেয়ে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি লিখল কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপালের প্রশ্নের জবাবে গত ২০ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার দাবি করেন, অক্সিজেনের অভাবে যে কারও মৃত্যু হয়েছে, তা কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তরফে জানানো হয়নি। তা নিয়ে বিরোধীদের তুমুল সমালোচনারম মুখে পড়েছিল বিজেপি সরকার। কিন্তু পরে বিরোধী রাজ্যগুলির তরফেও দাবি করা হয়, নিজেদের রাজ্যে অক্সিজেনের অভাবে কারও মৃত্যু হয়নি।
যদিও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ডেটামিট নামে সংস্থা যে তথ্য সংগ্রহ করেছে, তাতে অক্সিজেনের সংকটে দেশের ২০ টি রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬১৯ জনের। তার মধ্যে আটটি রাজ্যেই (মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ) ৩২০ জনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে অক্সিজেনের অভাব উঠে এসেছে। যদিও পরবর্তীকালে অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ হিসেবে অন্য কিছু দেখানো হয়েছে। ওই আট রাজ্যের মন্ত্রী এবং আধিকারিকরাও সেই মৃত্যুর সঙ্গে অক্সিজেনের সংকটের যোগসূত্র খুঁজে পাননি।
‘২০২৪ সালে দেশবাসীর মাথায় ছাতা ধরবেন মমতা!’, স্পষ্ট করলেন Mamata
তেমনই একটি রাজ্য মহারাষ্ট্র। যেখানে অক্সিজেনের অভাবে কমপক্ষে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে দাবি করেন, অক্সিজেনের অভাবে কারও মৃত্যু হয়নি। একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘মহারাষ্ট্রে কখনও অক্সিজেনের সংকটে মৃত্যু হওয়ার কথা বলিনি আমরা।’ যদিও গত এপ্রিল এবং মে মাসে প্রবল অক্সিজেনের সংকটে পড়েছিল মহারাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, সংসদে ‘শূন্য মৃত্যুর’ (অক্সিজেনের অভাবে) যে তথ্য পেশ করা হয়েছিল, তা নিয়ে বিজেপি সরকারের তুমুল সমালোচনা করেছিল মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের অন্যতম সদস্য শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। মহারাষ্ট্রের মতো একই পথে হেঁটে অক্সিজেনের অভাবে কোনও মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গ।
এখনই কার্যকর হচ্ছে না CAA, ছ’মাস পিছিয়ে গেল প্রক্রিয়া জানাল কেন্দ্র
শুধু গোয়াতেই (Goa) ৮০-র উপর রোগী মারা গিয়েছিলেন। অন্ধ্রপ্রদেশের ঘটনা আরও মারাত্মক। সেখানে ১১ জন কোভিড রোগীকে ICU-তে রাখা হয়েছিল। কিন্তু হঠাত্ই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। মারা যান তাঁরা। এক ধরনের ঘটনা ঘটেছিল হায়দরাবাদেও।