ওয়েব ডেস্ক: করোনা তৃতীয় তরঙ্গও আসবে। দ্বিতীয়তেই শেষ নয় লড়াই! Covid-এর তৃতীয় ঢেউ ঠিক কবে আছড়ে পড়তে চলেছে, তা নিয়ে মানুষের মনে আশঙ্কা এবং প্রশ্ন চলছে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা IMA এর চিকিৎসকদের দাবি, দেশে তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। এই বার্তা দিয়েই কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোকে সতর্ক করল এই চিকিৎসক সংগঠন। পাশাপাশি করোনা বিধি শিথিল হতেই একাধিক পর্যটনস্থলে পর্যটকদের মধ্যে বেপরোয়া মনোভাব দেখা গিয়েছে। সেই বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা।
এদিন রীতিমতো প্রেস বিবৃতি জারি করে IMA বলেছে, ‘গোটা বিশ্বের পরিস্থিতি এবং অতিমারির ইতিহাস ঘাঁটলেই দেখা যাবে, কোভিডের তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। কেউ তা আটকাতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন ছবি উঠে এসেছে, দেখা যাচ্ছে, কোভিড বিধি না মেনেই রাস্তাঘাটে বেরিয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। সে ব্যাপারে কোনও রকম সরকারি পদক্ষেপ নেই।’
তাদের পরামর্শ, ‘ঘুরতে যাওয়া, তীর্থযাত্রা, ধর্মীয় সমাবেশ— সবই জরুরি। কিন্তু এসবের জন্য আরও কয়েকটি মাস অপেক্ষা করাই যায়। টিকা-করণ ছাড়া জনসমাবেশে অনুমতি দেওয়া হলে, তা তৃতীয় ঢেউকে নিশ্চিত ভাবে ত্বরান্বিত করবে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যেই তা আছড়ে পড়বে। এই সময়ে আমাদের আরও সচেতন হওয়া জরুরি।’
সস্তাই প্রাকৃতিক গ্যাস মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করল নবান্ন
এদিকে, রথ যাত্রার দিনে পুরীতে নেই ভক্ত সমাগম। করোনা পরিস্থিতিতে শুধু সেবাইতরা টানেন রথ। এবার পুরীর রথযাত্রায় অংশ নিয়েছেন ৩ হাজার সেবায়েত ও ১ হাজার কর্মী। রথযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রত্যেকের আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট ও ভ্যাক্সিনেশন সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। নিরাপত্তাও জোরদার। রবিবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত পুরীতে জারি রয়েছে কার্ফু।
সম্প্রতি এসবিআই রিসার্চের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, টিকাকরণই একমাত্র পথ এই সংক্রমণ থেকে বাঁচার। এর পাশাপাশি আমাদের এটাও মনে রাখা দরকার যে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকে প্রায় ১.৭ গুণ বেশি মারাত্মক হতে চলেছে Covid Third Wave। আমাদের দেশে এখনও পর্যন্ত ৪.৬ শতাংশ মানুষের সম্পূর্ণ টিকা-করণ হয়েছে। টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২০.৮ শতাংশ মানুষ। যদি অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে আমাদের দেশ টিকাকরণের দিক থেকে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।
দেশকে তিনটি জোনে ভাগ করে কাজ করতে চাইছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
ইতিমধ্যেই ভারতে করোনার ডেল্টা, ডেল্টা প্লাস, বিটা, কাপ্পা প্রজাতির সংক্রমণ ঘটেছে। তৃতীয় ঢেউ-ও আসন্ন বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে দেশের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বস্তিদায়ক। এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩৭৬ জন। মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৪ হাজার ৭১৩ জন। সুস্থতার হার ৯৭.২২ শতাংশ। করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৮ হাজার ৭৬৪ জনের।