ওয়েব ডেস্ক: পুজোর এর মোটে দুই দিন বাকি। তার আগেই ভাঙড় থেকে উদ্ধার প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। এই ঘটনাই গ্রেফতার চার দুষ্কৃতী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভাঙড় থানার পুলিশ বড়ালী গ্রামে ইয়াসিন অখুনজি নামে এক গ্রামবাসীর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখানেই তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ওই বেআইনি মজুত অস্ত্র উদ্ধার করে। এরপরে, ইয়াসিনকে জেরা করে আরও তিন দুষ্কৃতীর খোঁজ পান গোয়েন্দারা। তাদেরকেও গ্রেফতার করা হয়।
বারুইপুর ও ভাঙড় থানার পুলিশ জানিয়েছে, পুজোর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল এই আন্তঃরাজ্য বেআইনি অস্ত্র পাচার চক্র। খবর আগে থেকেই ছিল। সেই মতো গোপনে অভিযান চলছিল। সব মিলিয়ে মোট ৬০ রাউন্ড কার্তুজ ও একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ইয়াসিন-সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশের অনুমান, ধৃতদের নিজ-হেফাজতে রেখে আরও অস্ত্র উদ্ধার হতে পারে। কারণ, এই চক্রটি কেবল ভাঙড়েই সীমাবদ্ধ এমনটা কিছুতেই মনে করছেন না তদন্তকারীরা। এর পেছনে কোনও প্রভাবশালী নেতৃত্বের হাত থাকাও অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন না তাঁরা।
শান্তিপুর কেন্দ্রে তৃনমূল, বাম, বিজেপি এর সাথে প্রার্থী দিলো কংগ্রেসও
এই ঘটনাই তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ দাবি করেন, বিরোধী আইএসএফ দলের দুষ্কৃতীরাই এরসঙ্গে যুক্ত। এমনকি ভাঙড়ে, অস্ত্রোপচার চক্রে আইএসএফ নেতাদের হাত থাকতে পারে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতার। পাল্টা, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ নেতৃত্ব। ভাইজান-গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়েছে, তৃণমূল এখন ক্ষমতায়। তাই এইধরনের অস্ত্রোপচার বেআইনি কাজ শাসকদলেরই কীর্তি বলে দাবি আইএসএফ নেতৃত্বের।
