ওয়েব ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার জেলার ছ’টি পুরসভায় ভোট ঘোষণা করার পরই সন্ধ্যার মধ্যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট। সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সব শ্রেণির মানুষ ও কম বয়সীদের মধ্যে থেকে প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ক্ষমতায় এলে আমরা নাগরিকদের কি দিতে পারব, সেটাই প্রচারে তুলে ধরা হবে।’’
ঠিক ন’বছর আগের পুর-নির্বাচনে ভোটের দিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সকাল ১০টার মধ্যেই মাঠ ছাড়ে বামফ্রন্ট। একদা ‘লাল দূর্গ’ বর্ধমানে নির্বাচনের দিন যতই প্রতিকূল অবস্থা আসুক, দলের প্রার্থীরা মাটি কামড়ে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকবেন, দাবি করেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য। তিনি বলেছেন, এ বারের লড়াইটা অস্তিত্ব রক্ষার।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা বর্ধমান পুর নির্বাচনী কমিটির বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তাপস সরকারের দাবি, সিপিআই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না বলে জানিয়েছিল। সে কারণে ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে সিপিএম ২৯টি, ফরওয়ার্ড ব্লক চারটি ও আরএসপি দু’টি আসনে প্রার্থী দেবে বলে ঠিক হয়। গত বারের প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা ছ’জনকে এ বার মনোনয়ন দিয়েছে সিপিএম। ৬৫ শতাংশ প্রার্থীর গড় বয়স ৫০-এর নীচে। এসএফআইয়ের জেলা কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক দীপঙ্কর দে ও বর্তমান সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরীও প্রার্থী হয়েছেন। সিপিএমের দাবি, এর আগে এসএফআই থেকে সরাসরি কোনও পদাধিকারীকে ভোটের ময়দানে দল নামায়নি।
গত পুরসভার ভোটে কাটোয়াতে একটাও আসন জিততে পারিনি বামেরা। এবার সেখানে ২০ টি ওয়ার্ডের ১৭টিতে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। বেশ কয়েকজন যুবককে প্রার্থী করা হয়েছে। সঞ্জীব দাস, কৌশিক দে-র মতো শিক্ষকেরাও রয়েছেন তালিকায়।
পৌর নির্বাচনে এবারেও বামেদের ভরসা রেড ভলান্টিয়ারের যুবরা
তেমনি কালনা পুরসভার ১৮টি আসনের মধ্যে সিপিএমের দখলে ছিল ছ’টি। এ দিন প্রার্থী ঘোষণার সময়ে হাজির ছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অঞ্জু কর, কালনা শহর এরিয়া কমিটির সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়েরা। দু’টি ওয়ার্ডে প্রার্থীদের নাম পরে ঘোষণা হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রার্থী তালিকায় পুরনোদের মধ্যে তিন জনের নাম রয়েছে। শীলা রাজবংশী, ফুল সিদুই, প্রবীর পাল, সুজয়প্রসাদ সাহা, দেবাশিষ নাথদের মতো বহু নতুন মুখও আনা হয়েছে।
ভারত আফগানিস্তানের জনগণকে মানবিক সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতি-বদ্ধ: বিদেশ মন্ত্রক
এ দিন মেমারিতে ১৩টি ওয়ার্ডে ও গুসকরায় ১৪টি ওয়ার্ডে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে মেমারি ও গুসকরা পুরসভায় ১৬টি করে আসনে সিপিএমের দখলে রয়েছে দু’টি ও পাঁচটি আসন।