ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। এবার তারই সমালোচনা করলেন বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়ার সাসপেনশনের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে সোমবার এসএফআই এবং ডিওয়াইএফের যৌথ উদ্যোগে একটি পথ-সভা আয়োজিত হয়। সেই সভা থেকেই মীনাক্ষীর দাবি, ‘‘কয়েক জন পড়ুয়া, কর্মী বা অধ্যাপকের বিরোধী নন বরং ভারতীয় শিক্ষার আদর্শ এবং রবীন্দ্র আদর্শের বিরোধী হলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।”
মীনাক্ষী আরও বলেন, উপাচার্য পড়ুয়ার ‘অনৈতিক’ সাসপেনশন এবং বারবার সেই সময়সীমা বৃদ্ধি করা প্রকৃতপক্ষে বিরুদ্ধ স্বরকে ভয় দেখিয়ে রুখে দেওয়ার চেষ্টা। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত গৌরবময় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এখন অসহনীয় অবস্থার মধ্যে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়কে দীর্ঘ খ্যাতি ও গরিমাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন।
শান্তিনিকেতন দমকল কেন্দ্র লাগোয়া বকুলতলায় এ দিন সকালে আয়োজিত হয় এই পথ-সভায় মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মীনাক্ষী। রবীন্দ্র আদর্শের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারলে উপাচার্যকে অবরোধেরও হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন “এই উপাচার্যের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি এতটাই শিক্ষার আদর্শের পরিপন্থী, যে সমস্ত রাজনৈতিক দল একযোগে তার বিরোধিতা করেছে।”
BJP বিরোধী সকলের সঙ্গেই বামেরা কাজ করতে প্রস্তুত, স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন বিমান বসু
বিশ্বভারতীয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখলেন বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল। সাংসদের ওই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন। চিঠিতে সাংসদও উপাচার্যের সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্য মণ্ডিত বিশ্বভারতী এখন অত্যন্ত অসহ্য পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। উপাচার্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘকালীন গৌরবকে নষ্ট করে দিচ্ছেন, এবং সর্বক্ষেত্রে এক ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করছেন।’’
তৃণমূলের সঙ্গে বামেদের একসাথে লড়াই করার প্রশ্ন অবান্তর, বিমানের পাল্টা সুর সুজনের মুখে
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা কর্মীদের একাংশ ও কয়েক জন অধ্যাপক বিশ্বভারতী সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বোলপুরের সাংসদ ও তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সাংসদের চিঠি তারই ফলশ্রুতি বলে মনে করা হচ্ছে। বাম ও তৃণমূলের অভিযোগ সম্পর্কে কোন প্রতিক্রিয়া দেননি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।