নদীয়া জেলার Santipur পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ড কারিগরপরায় বন্ধ ঘর থেকে এক গর্ভবতী স্ত্রীর লাশ পাওয়া গেছে এবং তার স্বামী কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থাই পাওয়া গেছে। প্রাথমিক অনুমান করা হয়েছে যে স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মঘাতী করেছেন। ঘটনাটি নদীয়ার Santipur থানা এলাকায়।
নিহতদের নাম দিলরুবা ইয়াসমিন ও সাবির শেক। এক বছর আগে Santipur থানার মালঞ্চ এলাকার যুবক সাবির শেখের সাথে তার বিয়ে হয়েছিল। দিলরুবার পরিবার জানায়, বিয়ের পর থেকেই তার স্ত্রী তার স্বামী সাবিরের মায়ের সাথে ঝগড়া করে। সূত্র মারফত জানা গেছে, একদিন আগে সাব্বির তার শ্বশুর বাড়ী অর্থাৎ দিলরুবা ইয়াসমিনের বাড়িতে এসেছিল।
আরও পরুন: SANTIPUR স্টিমার ঘাটে অব্যাহত রয়েছে ভাগীরথী নদীর ভাঙ্গন
গতকাল একই ঘরে তিনি ঘুমচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। সকালে দিলরুবা ইয়াসমিন ভাই অনেকক্ষণ ধরে চেঁচামেচি করলেও তাড়া কোনও সাড়া দেননি। শেষ পর্যন্ত বাড়ির দরজা ভেঙে তার বোন দিলরুবা ইয়াসমিনকে বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং জামাইয়ের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে Santipur থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহাকামা হাসপাতালে পাঠাই। তবে পরিবারের প্রাথমিক অনুমান যেহেতু দিলরুবা ইয়াসমিনের দেহ বিছানায় পড়ে ছিল, তাই তার স্বামী তাকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে। তবে পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের পরে পুরো বিষয়টি জানা যাবে। Santipur থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।