ওয়েব ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে তৃনমূল থেকে বিজেপিতে যাওর একটা স্রোত দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু বিধানসভা ভোটর পর সেই স্রোত যেন বিপরীতে। এবার এই দল বদল কে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। একইসঙ্গে BJP ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের হিড়িক প্রসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ‘BJP এবং তৃণমূলকে এক বলছি না। তবে কোন নেতা কখন, কোথায় যাচ্ছেন তা বুঝতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।’
জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী সমস্ত শক্তি কে সমর্থন করা অপরাধ নয় এমন ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। রবিবার রায়গঞ্জে যেন সেই সুরই শোনা গেল সূর্যকান্ত মিশ্রর গলায়। রবিবার রায়গঞ্জে যেন সেই সুরই শোনা গেল সূর্যকান্ত মিশ্রর গলায়। কেন্দ্রের BJP সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগে তার বার্তা, BJP-বিরোধী বামপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষ যে কোনও শক্তিকেই স্বাগত জানায় তাঁদের দল। ভবানীপুর প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করাহলে তার বক্তব্য, ‘রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণেই বামপন্থীরা তাদের লড়াই সর্বদা জারি রাখতে চায়। সে কারণেই ভবানীপুরে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।’ সূর্য বাবুর এই ধরনের মন্তব্য বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ ইঙ্গিত পূর্ণ বলে মনেকরছে রাজনৈতিক মহল।
জোটে নয়, আগামী দিনে সংগঠনকে মজবুত করার ভাবনা বামেদের
ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন- এর ১৯ তম রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে রবিবার রায়গঞ্জের ‘ছন্দম’ মঞ্চে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেই আলোচনা সভাতেই যোগ দিতে আসেন সূর্যকান্ত মিশ্র। ওই আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সূর্যকান্ত বাবু। তবে সভায় যোগ দিতে যাওয়ার আগে উত্তর দিনাজপুরের CPIM- এর জেলা কার্যালয় বসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই তিনি বলেন, ‘মোদি সরকার আমাদের দেশের যে ক্ষতি করে চলেছে বিগত দিনে এত বড় ক্ষতি কখনও হয়নি। মানুষের সার্বিক উন্নয়নের কথা ভুলে গিয়ে, নানা রকম ফন্দি এঁটে এবং পুঁজির ওপর নির্ভর করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তারা। বামপন্থীরা চিরকাল BJP-কে প্রধান শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে। তাই BJP বিরোধী বামপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষ যে কোনও শক্তিকেই স্বাগত জানায় আমাদের দল।’
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগী প্রত্যাখ্যানে ক্ষুব্ধ রাজ্য
এইদিন উত্তরবঙ্গে অজানা জ্বরে শিশু মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যকে বিশেষ পদক্ষেপ করারও বার্তাও দিলেন ডক্টর সূর্যকান্ত মিশ্র। এই বিষয়ে রাজ্য সরকার কে পরামর্শও দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ভয় বা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নয়। সঠিকভাবে নির্দিষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে শিশু মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা হোক। তা হলেই এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।’