ওয়েব ডেস্ক: যেদিন কলকাতায় পুরভোটের ফল ঘোষণা হয়, সেদিন অসমে যান মুখ্যমন্ত্রী। কামাখ্যা মন্দিরে পুজোও দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে কলকাতায় ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ASI পদমর্যাদার এক পুলিস আধিকারিক। সঙ্গে একটি ব্যাগে ছিল দুটি পিস্তল, গুলি ও টাকা। ট্রেনটি তখন নিউ কোচবিহার স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। বুধবার সকালে বি ৪ কামরায় ওই পুলিস আধিকারিকদের ব্যাগটি চুরি হয়ে যায়! নিউ কোচবিহার জিআরপি-তে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।
এই ঘটনার ঠিক ৪৬ ঘণ্টা পর কোচবিহার স্টেশন লাগোয়া ঝোপ থেকে উদ্ধার হল মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীর জোড়া পিস্তল ও গুলি। গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তকে। কীভাবে চুরি হল মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিস আধিকারিকের ব্যাগ? কে চুরি করল? কোচবিহার অতিরিক্ত পুলিস সুপারের (ASP) নেতৃত্বে গঠন করা হয় বিশেষ তদন্তকারী দল। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বেঙ্গল এসটিএফের একটি দলও। অপারেশনের পোশাকি ‘বেবি’। প্রথমে নিউ কোচবিহারের স্টেশনে লাগোয়া সিসিটিভি ফুটেজগুলি খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। এমনকি, বুধবার বিকেলে কোচবিহার সংশোধানাগারেও পৌঁছে যান তদন্তকারী দলের সদস্যরা। আর তাতেই মিলল সাফল্য।
বড়দিনের আগে কলকাতায় উদ্ধার বিপুল বিস্ফোরক, অস্ত্র-সহ গ্রেফতার ২
অভিযুক্তের নাম তপন বর্মন। বাড়ি, অসমের কোঁকডাঝাড়ে। এদিন সকালে সেখানে পৌঁছন তদন্তকারীরা। দুপুরে কোঁকডাঝাড়ে ফিরতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ব্যাগ, টাকা ও মোবাইল। জেরায় তপন বর্মন জানায়, ব্যাগটি চুরি করার পর ভিতরে পিস্তল দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিল সে। টাকা আর মোবাইল নিয়েছে, কিন্তু পিস্তল ও গুলি লুকিয়ে রেখেছে নিউ কোচবিহার স্টেশন লাগোয়া ঝোপে। শেষপর্যন্ত এদিন দুপুরে ওই ঝোপ থেকে জোড়া পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা।