ওয়েব ডেস্ক: পাঁচ দিনের দিল্লি সফর শেষে আজ কলকাতা ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেরার আগে জানিয়ে দিলেন, সফর সফল হয়েছে। উন্নয়নের পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলেই জানান তিনি। তবে পাখির চোখ যে দিল্লি, সেটা ফের একবার স্পষ্ট করে দিয়ে মমতা। যা রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
দিল্লি সফর সেরে কলকাতায় রওনা দেওয়ার আগে তৃণমূল সুপ্রিমো বললেন, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’। এদিন মমতা বলেন, ‘অনেক নেতার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠক ভালো হয়েছে। সকলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হবে’। মমতা বললেন, ‘দু’মাস পরপর দিল্লি আসব’। অন্যদিকে, দিল্লিতে সফরে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে নানান মহলে জল্পনা চলছিল। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। উনি মুম্বাই চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরেরবার যখন আসব তখন দেখা হবে।” রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পাওয়ার বৈঠক না হওয়ায় বিরোধী ঐক্যের বৃত্তটা সম্পূর্ণ করতে পারছিলেন না মমতা। কিন্তু শরদ পাওয়ারের সঙ্গে অন্তত কথা হওয়ার ফলে সেই চাপান্তর দূর করা গিয়েছে। পরের সফরে বৈঠকও হয়ে যাবে।
টিকা বণ্টনে বৈষম্যের শিকার বাংলা, মমতার দাবিতেই কার্যত সিলমোহর পড়ল সংসদে
তিনি আরও বলেন, ‘সংসদের অধিবেশনের পর আলোচনা হবে। একসঙ্গে কাজ করার জন্য একটা কমন প্ল্যাটফর্ম থাকা দরকার। সব বিরোধী দলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। সকলে বসে ঠিক করা হবে’।
এবার ‘খেলা শুরু’ ত্রিপুরায়, TMC-তে যোগদান ৭ বিরোধী নেতানেত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তাঁর কি আলোচনা হয়েছিল সেই প্রসঙ্গও ”পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি চিন্তার বিষয়।” করেনার টিকা নিয়ে আগেই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তী কোভিড ঢেউ নিয়ে মমতা বলেন, ”তৃতীয় ঢেউ কীভাবে আটকানো যাবে সেবিষয়ে যাতে নজর রাখা যায় সেকথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। প্রায় সমস্ত নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ”
